দলে ফিরতে বাবর-শাহিনকে কী করতে হবে, জানালেন কোচ
প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২৫ ১২:৫২
আপডেট:
১২ জুলাই ২০২৫ ১৯:১১

পাকিস্তানের নতুন সাদা বলের কোচ মাইক হেসন জানিয়েছেন, বাবর আজম ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি দলে ফেরাতে হলে কী কী পরিবর্তন দরকার। ২০২১ ও ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ওঠার পেছনে এই দুই তারকার বড় ভূমিকা ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাদের বাদ পড়াটা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
গত মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের হোম সিরিজে বাবর ও শাহিন ছিলেন না হেসনের প্রথম নির্বাচিত স্কোয়াডে। তবে কোচ জানিয়ে দিলেন, আগামী বছর ভারতে ও শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে দলে রাখার পরিকল্পনা করছেন।
বর্তমানে বাবর ও শাহিন দুজনই করাচিতে জাতীয় দলের ক্যাম্পে আছেন। এখান থেকেই তারা চলতি মাসের শেষে বাংলাদেশ সফরে যাবে। সেখানে মিরপুরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান।
বাবরের বিষয়ে হেসন পরিষ্কার করে বলেন, ‘প্রথমেই বলি, বাবর আজমকে আমরা উইকেটকিপার হিসেবে দেখছি না। জানি না এই গুজব কোথা থেকে এসেছে, তবে এমন কিছু নয়। বাবর এখন একজন ওপেনারের জায়গার জন্য লড়াই করছে। তবে আমাদের বর্তমান ওপেনার ফখর জামান ও সাইম আয়ুব, কাজেই সে তাদের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।’
বাবরের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেট ১২৯.৮১, যেখানে ফখরের ১৩৩.৪৯ আর সাইমের ১৩৮.৪৮। হেসন জানালেন, বাবরকে দলে ফেরার জন্য এই জায়গাটিতেই উন্নতি করতে হবে।
মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে ক্যারিয়ারে বহুবার সমালোচিত হয়েছেন বাবর। কোচ হেসনও এবার আঙুল তুললেন সে দিকেই, ‘টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইকরেট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তার সঙ্গে রানসংখ্যাও জরুরি। আমাদের ব্যাটিংয়ের স্ট্রাইকরেট যতটা হওয়া উচিত, ততটা না বলেই টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে আমরা এত পিছিয়ে। শেষ সিরিজে আমরা কিছুটা পরিবর্তন এনেছি, আরও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছি। বিশ্ব ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে এই রকমই খেলতে হবে।’
‘বাবরও এমন একজন, যে এই পরিবর্তন আনতে পারে। আমি এখানে এসেছি ওদের সঙ্গে কাজ করতে। গত এক মাসে ও কিছু ভালো পরিবর্তন এনেছে। এটা শুধু ১২৫ থেকে ১৫০ স্ট্রাইকরেটে পৌঁছানোর বিষয় না। আমাদের প্রায়ই ৩০-৪০ রান কম হয়। সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিতে হলে বাবরের মতো ব্যাটারদের এগোতে হবে।’
শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে হেসন নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি, তবে জানালেন যে উন্নতির জায়গা আছে।
‘শাহিন একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়। কিন্তু তার মধ্যেও কিছু জায়গায় কাজ করার প্রয়োজন আছে, যেমনটা এই ক্যাম্পে থাকা সবারই আছে। এই ক্যাম্পে সে আছে মানেই আমরা তাকে এখনও পরিকল্পনায় রেখেছি। ফর্ম খারাপ-ভালো যায়, কিন্তু আমরা কোচিং স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব নিই ওদের সাহায্য করার, যেন ওরা আবার শক্ত হয়ে ফিরতে পারে।’
‘আমরা কাউকে বাদ দিচ্ছি না। বরং আমরা চেষ্টা করছি তাদের সেরা করে গড়ে তুলতে, যেন পাকিস্তানের হয়ে তারা ভালো খেলতে পারে।’
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: