সুরা বুরুজে যে দুই বাহিনীর কথা বলা হয়েছে
প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১২:২৮
আপডেট:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৬:১৯

সুরা বুরুজে আল্লাহ তায়ালা তায়ালা ঈমানদার ব্যক্তিদের প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। ঈমানদের সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে পূর্ববর্তী যুগের এক সম্প্রদায়ের কথা তুলে ধরেছেন, যারা আল্লাহর ওপর ঈমানে অটল ছিল। ঈমান আনার কারণে অবিশ্বাসীরা তাদের কষ্ট দিয়েছিল। কিন্তু কেউ তাদের ঈমান থেকে টলাতে পারেনি।
এরপর ঈমানদারদের পুরস্কারের কথা বর্ণিত হয়েছে এবং অবিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহর কঠিন শাস্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে দুই অকৃতজ্ঞ জাতি বা বাহিনীর কথা বলা হয়েছে, যারা আল্লাহর নেয়ামত পেয়েও কৃতজ্ঞতা আদায় করেনি, উল্টো আল্লাহর নাফরমানি করেছে। এবং আল্লাহ তায়ালা তাদের ধ্বংস করেছেন।
সেই দুই জাতি বা বাহিনী হলো— ফেরাউন ও সামুদের বাহিনী।
সামুদ সম্প্রদায়
সামুদ সম্প্রদায়ের নবী ছিলেন হজরত সালেহ (আ.)। তিনি তাদেরকে আল্লাহর পথে আহ্বান করেছিলেন। তিনি তাদের বলেছিলেন, আল্লাহ তায়ালা মানুষকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালাই তোমাদেরকে নিজ অনুগ্রহে পৃথিবীতে বসতি স্থাপন করার সুযোগ দিয়েছেন। এর কারণে তোমরা এখানে জীবনযাপন করছো। তোমরা যেসব পাপ কাজ করো তার জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। তার ইবাদতেই মনোনিবেশ করা তোমাদের একান্ত কর্তব্য। তিনি তোমাদের খুব কাছে।
কিন্তু তারা তার ডাকে সাড়া দিল না। উল্টো আল্লাহর পক্ষ মুজিজা দাবি করলো। আল্লাহর কাছে দোয়া করে নবী সালেহ (আ.) মুজিজা হিসেবে পাথর থেকে একটি উট বের করলেন। এরপরও তারা আল্লাহর ওপর ঈমান আনলো না। মুজিজা ধ্বংসের চেষ্টা করলো। তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের সমূলে ধ্বংস করে দিলেন
ফেরাউন সম্প্রদায়
মিশরের বাদশা ছিল ফেরাউন। ৪০০ বছর রাজত্ব করেছিল সে। সে নিজেকে খোদা দাবি করে বসেছিল। তাকে ও তার সম্প্রদায়ের হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা মুসা (আ.)-কে প্রেরণ করেছিলেন। নবী মুসা (আ.)-কে ৯টি মুজিজা দিয়েছিলেন। সবগুলো প্রত্যাখ্যান করে মুসা (আ.) ও ঈমানদের ধ্বংস করতে চেয়েছিল। ফলে আল্লাহ তায়ালা ফেরাউন ও তার অনুসারীদের নীলনদে ডুবিয়ে ধ্বংস করলেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: