সুরা সাফফাতে হুরদের যে ৩ সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে
প্রকাশিত:
১২ আগস্ট ২০২৫ ১১:০০
আপডেট:
১২ আগস্ট ২০২৫ ২০:১২

সুরা আস-সাফফাতে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামী ও জান্নাতিদের আলোচনা করেছেন। নবীদের দেখানো পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণে তারা যে শাস্তি ভোগ করবে তার বিবরণ দিয়েছেন। এরপর আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের জন্য নির্ধারিত জান্নাতের কথা বলেছেন। তারা জান্নাতে সম্মানিত স্থানে থাকবে। সেখানে চিরস্থায়ী সুখে থাকবে। এই সুখ ও আরাম কখনো শেষ হবে না।
আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে তাদের জন্য হুর রাখবেন। জান্নাতের এতো সুন্দর হবে যে, মানুষ আর কোনো দিকে তাকাবে না। হুরদের সৌন্দর্য সম্পর্কে সুরা আস-সাফফাতে বলা হয়েছে—
وَعِنۡدَہُمۡ قٰصِرٰتُ الطَّرۡفِ عِیۡنٌ ۙ کَاَنَّہُنَّ بَیۡضٌ مَّکۡنُوۡنٌ
তাদের কাছে থাকবে সংযত নয়না, সতী সাধ্বী, ডাগর ডাগর সুন্দর চোখ বিশিষ্ট সুন্দরীরা (হুরগণ)। তারা যেন সযত্নে ঢেকে রাখা ডিম। (আস-সাফফাত, আয়াত : ৪৮-৪৯)
এই আয়াতে জান্নাতের হুরদের বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। এ আয়াতে বলা হয়েছে তাদের প্রথম গুণ হলো তারা হবে ‘আনতনয়না’। যে স্বামীর সাথে আল্লাহ তায়ালা তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করে দেবেন, তারা তাদের ছাড়া কোন ভিন্ন পুরুষের প্রতি দৃষ্টিপাত করবে না।
কোন কোন মুফাসসির এর অর্থ করেছেন, তারা তাদের স্বামীদের দৃষ্টি নত রাখবে। অর্থাৎ তারা নিজেরা এমন ‘অনিন্দ্য সুন্দরী ও স্বামীর প্রতি নিবেদিতা’ হবে যে, স্বামীদের মনে অন্য কোন নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করার বাসনাই হবে না।
হুরদের দ্বিতীয় গুণ সম্পর্কে বলা হয়েছে তাদের চোখ বড় বড় হবে। আর মেয়েদের চোখ বড় হলে সুন্দর দেখায়।
আর জান্নাতি হুরদের তৃতীয় গুণ হিসেবে তাদের সুরক্ষিত ডিমের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আরবদের কাছে এই তুলনা প্রসিদ্ধ ও সুবিদিত ছিল। যে ডিম পাখার নিচে লুকানো থাকে, তা এমনই সুরক্ষিত থাকে যে, এর উপর বাইরের ধূলিকণার কোন প্রভাব পড়ে না। ফলে তা খুব স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন থাকে।
এছাড়া এর রঙ সাদা হলুদাভ হয়ে থাকে; যা আরবদের কাছে মহিলাদের সর্বাধিক চিত্তাকর্ষক রঙ হিসেবে গণ্য হত। তাই এর সাথে তুলনা করা হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: