অপরাধ দমনে সিপিটিইডি মডেল যেভাবে কার্যকর
প্রকাশিত:
১ আগস্ট ২০২৫ ১১:৪১
আপডেট:
১ আগস্ট ২০২৫ ১২:৪৩

বর্তমান বিশ্বে অপরাধ বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা। আর এই সমস্যা কখনো চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন কিংবা সাইবার অপরাধের রূপে প্রকাশ পায়, আবার কখনো শিশু বা নারী নির্যাতন কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজকে অস্থির করে তোলে।
এমনকি এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অপরাধ মানবসভ্যতার সাথে দীর্ঘদিন ধরে সহাবস্থান করছে। কোথাও এটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক সহিংসতা, কোথাও সংগঠিত অপরাধ, আবার কোথাও প্রযুক্তিনির্ভর সাইবার অপরাধের রূপে প্রকাশ পায়। অপরাধ দমন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা অসংখ্য তত্ত্ব ও মডেল উপস্থাপন করেছেন, যা শুধু আইন প্রয়োগ নয় বরং অপরাধের উৎস ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বুঝতে সাহায্য করে।
উন্নত দেশ থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশ পর্যন্ত কোথাও অপরাধের হার তুলনামূলক কম, কোথাও বা অনেক বেশি। তবে কম হোক কিংবা বেশি হোক, অপরাধ দমন বা প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিকভাবে বেশকিছু স্ট্যান্ডার্ড মডিউল অনুসরণ করা হয়।
তার মধ্যে কয়েকটি কার্যকারিতার ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে। আর এই প্রমাণিত বিষয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে তুলে ধরা যায় CPTED (Crime Prevention Through Environmental Design) মডেলকে। এই মডেলটি বিভিন্ন কারণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি শুধু আইন প্রয়োগ বা পুলিশি টহল নয় বরং নগর নকশা, সামাজিক অংশগ্রহণ, জনসচেতনতা এবং স্থাপত্য কাঠামোকে একত্রিত করে অপরাধ প্রবণতা কমায়।
CPTED-এর মূল দর্শন হলো এমনভাবে শহর বা আবাসিক এলাকা ডিজাইন ও পরিচালনা করা যাতে অপরাধী মানসিকভাবে নিরুৎসাহিত হয়। এমনকি স্বাভাবিক জনজীবনের দৃষ্টিসীমা বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় অধিবাসীরা নিরাপত্তার জন্য স্বস্তিকর অনুভূতি পান।
CPTED-এর চারটি প্রধান উপাদান আছে। একটি হলো টেরিটোরিয়াল রক্ষণাবেক্ষণ, যেখানে প্রতিটি স্থাপনার সীমানা ও পরিচ্ছন্নতা মালিকানার বোধ সৃষ্টি করে। প্রাকৃতিক পর্যবেক্ষণ, যেখানে রাস্তা, গলি, জানালা ও গেটের অবস্থান এমন থাকে যাতে স্বাভাবিকভাবেই সবার নজরে স্থানটি থাকে।
প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, যা অচেনা বা অননুমোদিত প্রবেশকে কঠিন করে তোলে এবং রক্ষণাবেক্ষণ বা মেইনটেন্যান্স, যা ভাঙা, অন্ধকারাচ্ছন্ন বা পরিত্যক্ত স্থানকে অপরাধের আখড়া হতে বাধা দেয়। উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাজ্যের Secured by Design (SBD) প্রোগ্রামটি উল্লেখযোগ্য, যা ১৯৮৯ সাল থেকে চালু রয়েছে এবং নতুন আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা ডিজাইনের সময় এমন সমস্ত নিরাপত্তা ও দৃশ্যমানতার শর্ত আরোপ করে চুরির হার প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
এখানে ভবনের জানালা, আলোকসজ্জা, রাস্তা ও পার্কিং স্পেসের অবস্থান এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয় যাতে স্বাভাবিকভাবেই নজরদারি থাকে এবং সন্দেহজনক প্রবেশপথ বন্ধ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে Chicago Alternative Policing Strategy (CAPS) ১৯৯৩ সাল থেকে কমিউনিটি পুলিশিং মডেল হিসেবে কাজ করছে, যেখানে পুলিশ ও সাধারণ মানুষ মাসিক মিটিং করে এলাকাভিত্তিক অপরাধের ধরন চিহ্নিত করে এবং ডিজাইন, আলো, পথনির্দেশ, সামাজিক কর্মসূচি ও স্থানীয় নজরদারি একত্রিত করে অপরাধের মূল কারণ সমাধানে মনোযোগ দেয়।
অপরদিকে উত্তর ইউরোপের উদাহরণে আইসল্যান্ডের Barnahus মডেল শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে CPTED দর্শনের একটি সামাজিক সংস্করণ, যেখানে শিশুদের জন্য বিশেষ ডিজাইনকৃত ভবনে পুলিশ, চিকিৎসক, সামাজিক কর্মী ও বিচারক একসাথে কাজ করে যাতে শিশু পুনরায় ট্রমা ছাড়া ন্যায়বিচার পায়।
Barnahus মডেল মূলত শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও বিচার প্রক্রিয়ার একটি সমন্বিত মডেল, যা প্রথম চালু হয় আইসল্যান্ডে ১৯৯৮ সালে। ‘Barnahus’ শব্দটির অর্থ আইসল্যান্ডিক ভাষায় “Children’s House” বা শিশুদের ঘর। এটি এমন একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান যেখানে শিশু নির্যাতনের শিকার শিশুরা (যেমন শারীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন বা মানসিক নির্যাতন) এক জায়গায় সব ধরনের সহায়তা ও ন্যায়বিচার পায়, যাতে তারা বারবার জিজ্ঞাসাবাদ বা বিচার প্রক্রিয়ায় ট্রমার শিকার না হয়।
এক্ষেত্রে স্থানীয় পরিবেশ এমনভাবে সাজানো হয় যাতে অপরাধী ভীতি অনুভব করে ও সমাজের আস্থা বাড়ে। এই তিনটি উদাহরণই দেখায়, অপরাধ দমন শুধু টহল ও শাস্তি নয় বরং মানবকেন্দ্রিক ডিজাইন ও সামাজিক সহযোগিতার সমন্বয়। অপরাধ দমন কিংবা প্রতিরোধর ক্ষেত্রে আরও কিছু তত্ত্ব কিংবা কৌশল গ্রহণের গুরুত্ব রয়েছে।
বিশেষ করে এক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করা যায়, র্যাশনাল চয়েস থিওরির (Rational Choice Theory) কথা। এই তত্ত্ব অনুযায়ী অপরাধীরা অপরাধ করার আগে সম্ভাব্য লাভ (যেমন অর্থ, ক্ষমতা, প্রতিশোধ) এবং সম্ভাব্য ক্ষতি (যেমন ধরা পড়া, শাস্তি, সামাজিক লজ্জা) বিবেচনা করে কাজ করে।
যদি মনে করে ধরা পড়ার ঝুঁকি বেশি বা শাস্তি দ্রুত হবে, তবে তারা অপরাধ করতে নিরুৎসাহিত হয়। যেমন অন্ধকার, ফাঁকা গলি দেখে সে মনে করে ধরা পড়ার ঝুঁকি কম, সেক্ষেত্রে-ছিনতাই করে। কিন্তু যদি সেই গলি আলোয় ভরা, সিসি ক্যামেরা থাকে, টহল পুলিশ থাকে- ধরা পড়ার ঝুঁকি বেশি মনে করে, তখন অপরাধ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আবার অনেকে ওয়েবসাইট হ্যাক করে যেটির নিরাপত্তা দুর্বল- কম ঝুঁকি, বেশি লাভ। কিছু ক্ষেত্রে যেমন মনে করতে পারে যে উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে (তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ বা মন্ত্রণালয়) প্রবেশের চেষ্টা করবে না- একে বেশি ঝুঁকি মনে করে।
CPTED মডেলের সাথে এই তত্ত্বের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো রাস্তা অন্ধকার ও ফাঁকা থাকে, চোর বা ছিনতাইকারী মনে করবে এটি একটি “কম ঝুঁকির সুযোগ”; কিন্তু যদি রাস্তা আলোকিত হয়, গলিপথ খোলা ও দৃশ্যমান হয়, পার্শ্ববর্তী ভবনের জানালা রাস্তার দিকে খোলা থাকে, তবে অপরাধীর মনে হবে ধরা পড়ার ঝুঁকি বেশি। যুক্তরাজ্যের Secured by Design প্রকল্প এই তত্ত্বের সফল বাস্তবায়ন, যেখানে নিরাপদ ডিজাইন চোরদের জন্য অপরাধকে উচ্চ ঝুঁকির করে তোলে।
দ্বিতীয়ত উল্লেখ করা যায়, রুটিন অ্যাক্টিভিটি থিওরি (Routine Activity Theory) বা তত্ত্ব। এই তত্ত্ব বলছে, অপরাধ ঘটার জন্য তিনটি শর্ত প্রয়োজন, যথা
(১) প্রেরণাদায়ী অপরাধী,
(২) সম্ভাব্য শিকার,
(৩) অভিভাবক বা গার্ডিয়ানের অনুপস্থিতি।
এই তত্ত্ব বোঝায় কেন শহরের নির্দিষ্ট এলাকা বেশি অপরাধপ্রবণ। উদাহরণস্বরূপ, জনশূন্য গলি বা অব্যবহৃত পার্কিং এরিয়া প্রায়ই অপরাধের কেন্দ্র হয়ে ওঠে কারণ সেখানে কার্যকর ‘গার্ডিয়ানশিপ বা নজরদারি করা লোক’ নেই।
CPTED মডেলের Natural Surveillance ও Access Control ঠিক এই তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে এমনভাবে রাস্তা ও ভবন ডিজাইন করা হয় যাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নজরদারি থাকে এবং অপরাধী সুযোগ না পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Chicago CAPS কমিউনিটি পুলিশিং প্রোগ্রামও রুটিন অ্যাক্টিভিটি থিওরির প্রতিফলন, কারণ এটি স্থানীয়দের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে ‘গার্ডিয়ানশিপ’ শক্তিশালী করে।
তৃতীয়ত উল্লেখ করা যায়, সোশ্যাল ডিসঅর্গানাইজেশন থিওরি (Social Disorganization Theory) বা তত্ত্ব। শহরের যেসব এলাকায় দারিদ্র্য, উচ্চ জনঘনত্ব, অভিবাসন চাপ, পারিবারিক ভাঙন ও সামাজিক একতা দুর্বল-সেখানে অপরাধ প্রবণতা বেশি হয়।
CPTED মডেল শুধুমাত্র ভৌত পরিবেশ নয়, সামাজিক অংশগ্রহণকেও গুরুত্ব দেয়। কোনো এলাকা যদি নোংরা, অন্ধকার, পরিত্যক্ত ও সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকে, তবে তা অপরাধীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হয়ে ওঠে। Barnahus মডেল এখানে প্রাসঙ্গিক, কারণ এটি শুধু শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ নয় বরং স্থানীয় সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের একত্রীকরণ ঘটায়, যা সামাজিক শৃঙ্খলা ও আস্থা ফিরিয়ে আনে। সামাজিক একতা বাড়ালে অপরাধের মূল শেকড় দুর্বল হয়।
চতুর্থত, ব্রোকেন উইন্ডোজ থিওরি (Broken Windows Theory) বা তত্ত্ব। যদি কোনো এলাকায় ভাঙা জানালা, নোংরা রাস্তা, পরিত্যক্ত বাড়ি ও অব্যবস্থাপনা থাকে, তবে তা অপরাধীদের মানসিকভাবে উৎসাহিত করে। ছোট অপরাধ দমন না করলে বড় অপরাধ বাড়তে থাকে।
CPTED-এর Maintenance উপাদান সরাসরি এই তত্ত্বের বাস্তবায়ন। একটি শহর পরিচ্ছন্ন, আলো বাতাসপূর্ণ ও ব্যবহারযোগ্য রাখলে অপরাধপ্রবণতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে। অর্থাৎ ছোট অপরাধে শিথিলতা থাকলে অপরাধীরা ধরে নেবে যে এলাকাটি নজরদারির বাইরে এবং বড় অপরাধ করার ঝুঁকিও কম।
উদাহরণস্বরূপ, নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়েতে ৯০-এর দশকে ছোট অপরাধ (ভাড়া ফাঁকি, দেয়ালে আঁকিবুঁকি, আবর্জনা ফেলা বা ছোটখাটো ভাঙচুর) দমন করে বড় অপরাধও কমানো সম্ভব হয়েছিল। ফলাফল হিসেবে, কয়েক বছরের মধ্যে খুন, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো বড় অপরাধও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
এই চারটি তত্ত্বই প্রমাণ করে যে, অপরাধ দমনে শাস্তি দেওয়া যেমন জরুরি, তেমনি অপরাধের সুযোগ কমানো ও সামাজিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও অপরিহার্য। CPTED মূলত এই তত্ত্বগুলোর ব্যবহারিক রূপ। এটি র্যাশনাল চয়েস থিওরির মতো অপরাধীকে নিরুৎসাহিত করে। রুটিন অ্যাক্টিভিটি থিওরির মতো সুযোগ সীমিত করে।
সোশ্যাল ডিসঅর্গানাইজেশন থিওরির মতো সামাজিক সংহতি পুনর্গঠন করে এবং ব্রোকেন উইন্ডোজ থিওরির মতো পরিবেশকে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রাখে। উন্নত রাষ্ট্রগুলো ইতিমধ্যেই এটি প্রয়োগ করে সফল হয়েছে, আর উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোতে এটি প্রয়োগ করলে অপরাধ দমনে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক ফল পাওয়া সম্ভব। বিশেষত এটি নগর এলাকায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।
আন্তর্জাতিকভাবে UNODC এবং International Centre for the Prevention of Crime (ICPC) CPTED ও কমিউনিটি ভিত্তিক অপরাধ দমন কৌশলকে স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন হিসেবে সুপারিশ করেছে, যেখানে স্থানীয় তথ্য বিশ্লেষণ, ডিজাইন পরিকল্পনা, নাগরিক অংশগ্রহণ এবং টেকসই রক্ষণাবেক্ষণকে অপরিহার্য ধাপ হিসেবে ধরা হয়েছে।
যেমন প্রথম ধাপে এলাকা বা শহরের অপরাধ হটস্পট চিহ্নিত করতে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়;
দ্বিতীয় ধাপে নগর পরিকল্পনা ও ডিজাইন সংক্রান্ত পরিবর্তন আনা হয়, যেমন আলোকসজ্জা, খোলা দৃশ্যমানতা, গলিপথের স্পষ্টীকরণ, প্রবেশপথে কন্ট্রোল সিস্টেম;
তৃতীয় ধাপে স্থানীয় নাগরিক, ব্যবসায়ী, যুবক ও সমাজকর্মীদের যুক্ত করে কমিউনিটিভিত্তিক অংশগ্রহণ বাড়ানো হয়;
চতুর্থ ধাপে রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয় যাতে অপরাধ প্রবণতা পুনরায় না বাড়ে;
এবং পঞ্চম ধাপে প্রশিক্ষণ ও মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয় যাতে পুলিশ, নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে।
এই মডিউলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এটি সামাজিক আস্থা বাড়ায় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জনগণের সহযোগী করে তোলে। এর মাধ্যমে শুধু অপরাধ কমায় না, বরং দীর্ঘমেয়াদে সমাজে স্থিতিশীলতা আনে। উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেমন যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আইসল্যান্ডে এই মডেল ইতিমধ্যেই সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছে, তেমনি দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন শহর ও অঞ্চলে এটি প্রয়োগ করা সম্ভব।
যদি শহরের অন্ধকার গলিপথগুলো আলোকিত করা যায়, পরিত্যক্ত স্থাপনাগুলো ব্যবহারযোগ্য করা যায়, স্থানীয়দের নিয়ে ব্লক ভিত্তিক কমিটি গঠন করা যায় এবং সামাজিক মালিকানা বাড়ানো যায়, তাহলে অপরাধ প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
সর্বোপরি, অপরাধ দমন শুধু শাস্তিমূলক নয়, এটি একটি সমন্বিত সামাজিক পরিবেশগত প্রক্রিয়া। আর CPTED সেই প্রক্রিয়ার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক স্ট্যান্ডার্ড মডিউল, যা অপরাধ প্রতিরোধে আধুনিক, মানবকেন্দ্রিক ও টেকসই সমাধান প্রদান করে।
তথ্যঋণ:
১। Cornish & Clarke, The Reasoning Criminal; “Understanding Crime Displacement: An Application of Rational Choice Theory” (Criminology 1987), https://www.researchwithrutgers.com/en/publications/understanding-crime-displacement-an-application-of-rational-choic?utm_source=chatgpt.com
২। C. Ray Jeffery, Crime Prevention Through Environmental Design (1971); Oscar Newman, Defensible Space (1972), https://en.wikipedia.org/wiki/Crime_prevention_through_environmental_design?utm_source=chatgpt.com
৩। James Q. Wilson & George L. Kelling, “Broken Windows” (The Atlantic Monthly, March 1982); George L. Kelling & Catherine Coles, Fixing Broken Windows (1997), https://soztheo.com/theories-of-crime/space-surveillance/broken-windows-theory-wilson-kelling/?utm_source=chatgpt.com
৪। https://www.college.police.uk/guidance/neighbourhood-crime/what-situational-crime-prevention?utm_source=chatgpt.com
৫। https://www.simplypsychology.org/rational-choice-theory-of-criminology.html?utm_source=chatgpt.com
৬। https://www.theatlantic.com/ideas/archive/2019/05/the-broken-windows-debate-survives-its-creators/589645/?utm_source=chatgpt.com
ড. সুলতান মাহমুদ রানা : অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: