বড় পতনের পর বিদেশি বিনিয়োগে গতি
প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২৫ ১১:১৫
আপডেট:
১২ জুলাই ২০২৫ ১৮:৫৫

রাজনৈতিক অস্থিরতা, গ্যাস–বিদ্যুতের সংকটসহ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন ধরেই প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে (এফডিআই) মন্দাভাব চলছিল। গত বছরের শেষ ছয় মাসে তা ৭১ শতাংশ কমে যায়। তবে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি–মার্চ) এফডিআই আসার হার বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দেশে মোট ১৫৮ কোটি ডলারের এফডিআই এসেছে। এর মধ্যে ৭১ কোটি ডলার ফেরত নিয়ে গেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। সেই হিসাবে, গত জানুয়ারি–মার্চ সময়ে নিট এফডিআই এসেছে ৮৬ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১১৪ শতাংশ বেশি।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আসা নিট এফডিআই ২০২২ সালের পর সর্বোচ্চ। ওই বছরের জানুয়ারি–মার্চে নিট এফডিআই এসেছিল ৮৯ কোটি ডলার। পরের বছরের একই সময়ে সেটি কমে ৬৩ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। গত বছরের প্রথম তিন মাসে নিট এফডিআই এসেছিল মাত্র ৪০ কোটি ডলারের।
বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে, নতুন প্রকল্পে টাকা আনে কিংবা শেয়ার কেনে—এসবই মোট বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) হিসেবে গণ্য হয়। এই অর্থ অর্থনীতিতে প্রবেশ করে। একই সঙ্গে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশ থেকে তাদের মুনাফা ফেরত নিয়ে যায়, কখনো আবার শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়—এটি হলো এফডিআই আউটফ্লো বা বহির্গমন। মোট এফডিআই থেকে আউটফ্লো বাদ দিলে নিট এফডিআই পাওয়া যায়। এই অর্থই শেষ পর্যন্ত দেশের অর্থনীতিতে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে নিট নতুন বিনিয়োগ বা ইক্যুইটি এসেছে ২৭ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে ইক্যুইটি এসেছিল ১২ কোটি ডলার। এ ছাড়া গত জানুয়ারি–মার্চ সময়ে নিট এফডিআইয়ের ১৯ কোটি ডলার এসেছে পুনর্বিনিয়োগ আয় থেকে। আন্তকোম্পানি ঋণ থেকে এসেছে ৪০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের এফডিআইয়ের বড় অংশই আগে থেকে দেশে বিনিয়োগ করা কোম্পানির আয় পুনর্বিনিয়োগের মাধ্যমে আসে।
এদিকে প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধির বিষয়ে মতামত দিতে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে সরকার। গত ২৯ মে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। বলা হয়, কমিটি এক মাসের মধ্যে মতামত দেবে।
গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এই বছরের এফডিআই আসার পেছনে আমাদের ভূমিকা যৎসামান্য। বিনিয়োগের ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) আগেই হয়ে ছিল। সম্ভবত প্রসেস (প্রক্রিয়া) একটু গতিশীল হয়েছে।’
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: