আ.লীগের সাথে জামায়াত নেতাকে আসামি, থানা গেটে জামায়াতের বিক্ষোভ
প্রকাশিত:
২৩ নভেম্বর ২০২৫ ২১:০৩
আপডেট:
২৩ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৪৭
শেরপুরের শ্রীবরদীতে নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক জামায়াত নেতাকে আসামি করার প্রতিবাদে থানা গেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান বাদলের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি শ্রীবরদী মধ্যবাজারস্থ উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে থানার গেটে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে মিলিত হয়। পরে মো. নুরুজ্জামান বাদলসহ জামায়াতের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ শ্রীবরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল আজমের কক্ষে যান এবং ঘটনার বিস্তারিত জানান। পরে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে নুরুজ্জামান বাদলের সঙ্গে কথা বলে আগামী দুইদিনের মধ্যে বিষয়টির সমাধান করার আশ্বাস দেন। এরপর জামায়াত নেতারা বিক্ষোভ তুলে নেন।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. নুরুজ্জামান বাদল বলেন, আমাদের কর্মীদের প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়, যে যারা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে কাজ করবে তাদের নামে মামলা করা হবে এবং তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ২১ নভেম্বর রাতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে মশাল মিছিল হয়েছে। ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় শ্রীবরদী পৌর জামায়াতের ৮নং ওয়ার্ড যুব শাখার সভাপতি আলমাস হোসাইনের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়েই আমরা থানায় এসেছি। শেরপুরের পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামী দুইদিনের মধ্যে তদন্ত করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে অব্যাহতি দেওয়া সম্ভব হলে তা করবেন। তাদের সহযোগিতার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, এই আসনের নির্বাচন নিঃসন্দেহে প্রতিযোগিতামূলক হবে। প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রার্থী একজন হেভিওয়েট ও তিনবারের সংসদ সদস্য। আমরা একসাথে রাজনীতি করেছি, তিনি একজন ভালো মানুষ। তবুও কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা অনেক কথার উদ্রেক করে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, যেন অপ্রয়োজনীয়ভাবে কেউ হয়রানী না হয় এবং নির্বাচনে কোন হুমকি-ধামকীর ঘটনা না ঘটে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে ২১ নভেম্বর রাতে শেরপুরের শ্রীবরদীতে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলামের তত্বাবধানে মশাল মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী। ওই ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় দায়ের করেন। মামলায় জামায়াত নেতা আলমাছ হোসাইনকে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: