এটিএম আজহারুল ইসলাম
সবাই রাজি, তাহলে কেন গণভোট নির্বাচনের আগেই হবে না?
প্রকাশিত:
২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:২৭
আপডেট:
২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:০৫
রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, গণভোটে সবাই রাজি হয়েছি, তাহলে কেন গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হবে না এবং করলে সমস্যাটা কি? আমাদের দাবি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই যেন গণভোট করা হয়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সবাই স্বাক্ষর করেছি। আমরা মনে করি, গণভোট হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমাদের হাতে সময় অল্প, এজন্য ভোট এবং গণভোটের সময় হবে না।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের এখন থেকেই কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দাবি করে আসছি। এখনো প্রশাসনে অনেকে আছেন, যারা বিশেষ একটা দলের পক্ষে কাজ করছে। সরকারি চাকরি যারা করেন তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। এটা অব্যাহত থাকলে আমার এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে, ইংশাল্লাহ।
তিনি বলেন, সাড়ে তিন-চার মাস ধরে বদরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি। সব জায়গায় ভালো সাড়া পাচ্ছি। নারীদের সবচেয়ে বেশি সাড়া পাবো, ইংশাল্লাহ। অনেক সংস্কার করেছি। যেহেতু আমি জনগণের জন্য নির্যাতিত ছিলাম, এজন্যই তারা আমাকে ভোট দেবে।
তিনি আরও বলেন, আমি সর্বস্তরের লোকদের সমর্থন পাচ্ছি। যেহেতু তরুণ প্রজন্ম একটা বিপ্লব করে সরকারকে হঠিয়েছে, এখানে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ অনেকটা বেশি। তরুণ-যুব-বৃদ্ধ, মহিলা এবং অমুসলিমদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম রাস্তাঘাট তৈরি করব। যে সমস্ত রাস্তাঘাট হয়নি প্রশাসনকে বলে করার চেষ্টা করেছি। যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৈষম্যের শিকার এবং এমপিভুক্ত করেনি সেগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখবো, ইংশাল্লাহ।
তিনি বলেন, এখানে শ্যামপুর সুগার মিল রয়েছে, মতিউর রহমান নিজামী শিল্পমন্ত্রী থাকা অবস্থায় উন্নয়ন হয়েছিল। কিন্তু এখন সেটি দুর্নীতি ও লোকসানের কারণে বন্ধ করা হয়েছে। নির্বাচিত হলে চেষ্টা করব আইনি কোনো সমস্যা না থাকলে শ্যামপুর চিনিকল চালু করার। যাতে আমার এলাকার শত শত লোকজন চাকরি করতে পারে। এখানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে, কিন্তু গরিব লোকজন বেশি। আমি ইতোমধ্যে একটা হাসপাতাল করেছি, যেখানে শত শত লোকজন চাকরি করছে। নির্বাচিত হলে বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের দুই উপজেলায় দুটি হাসপাতালের আধুনিকায়ন করা হবে। যাতে মানুষ ঠিকমতো সেবা পায়, সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। সুলভমূল্যেও চিকিৎসা দেওয়া হবে।
দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, যেহেতু দুর্নীতিমুক্ত থেকেই এতোদিন কাজ করছি, এখানে নির্বাচিত হলে দুর্নীতিমুক্ত থাকব, ইংশাআল্লাহ। আমি সব জায়গায় বলেছি, যদি এমপি হতে পারি সরকারি-বেসরকারি বরাদ্দ আনবো। ক্ষমতায় গেলে সরকারি বরাদ্দের একটি হারামের টাকাও আমার পেটে ঢুকবে না, ইংশাআল্লাহ। বিজয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার বিজয় এমনভাবে হবে, আমার ধারেকাছেও কেউ আসতে পারবে না, ইংশাআল্লাহ।
এ সময় ৪ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার সাহাপুর মাঠে শুরু করে শোডাউনটি। এরপর বদরগঞ্জ উপজেলার সাব্বিরিজ হয়ে শ্যামপুর, নাগের হাট পদাগঞ্জ, লোয়ানী পাড়া, ওসমানপুর, ট্যাক্সেরহাট গোপীনাথপুরের বটেরহাট, লালদীঘি ধোলাইঘাট, তারাগঞ্জ, একরচালি হাড়িয়ালকুটি হয়ে শেখেরহাট হয়ে আবারও সাহাপুর মাঠে শেষ করে।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: