শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


করোনা ভাইরাস নিয়ে ইন্টারনেটে ভুল তথ্য শেয়ার নয়


প্রকাশিত:
২৯ মার্চ ২০২০ ০৫:২৫

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ১৭:২৪

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস নিয়ে নেট দুনিয়ায় ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি। এর মধ্য থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া এখন খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। যদিও বিশ্বিবিখ্যাত ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো করোনার সঠিক আপডেট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন সাইটে ভুল তথ্য বা গুজব ঠেকানো যাচ্ছে না।

সচেতন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে ভুল তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকা উচিত প্রত্যেকের। সে জন্য কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে দেখে নিন করণীয়গুলো-

তথ্যের উৎস যাচাই করুন: কোনো কিছু ফরোয়ার্ড করার আগে প্রথম প্রশ্ন মাথায় রাখুন, কোথা থেকে তথ্যটি এলো। উৎসটি যদি কোনো বন্ধুর বন্ধু বা আন্টির কলিগের প্রতিবেশীর হয় তবে বুঝে নেবেন এটি খুব ভয়ঙ্কর তথ্য। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা ফুল ফ্যাক্টের ডেপুটি এডিটর ক্লেয়ার মিলনি বলেন, এই সময়ে করোনা সম্পর্কিত সবচেয়ে বিশ্বস্ত তথ্য হতে পারে এনএইচএস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।  এমনকি বিশেষজ্ঞরাও এখন এই তালিকার বাইরে, তবে হোয়াটসঅ্যাপে অজ্ঞাত কোনো সোর্সের চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞরা।

ফেইক কিনা যাচাই করুন: কোনো তথ্য ফেইক হলেও সামনে হাজির হতে পারে ভিন্নভাবে। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলছে, যেকোনো অফিসিয়াল সাইট, সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে ফেইক অ্যাকাউন্ট খোলা হতে পারে হুবহু। এমনকি স্ক্রিনশট নিয়ে সেটিও বদল করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথম কাজ হবে সেগুলো যাচাই করে নেওয়া। প্রয়োজনে সেই সাইটে গিয়ে মূল তথ্য কি সেটি দেখুন। তা ছাড়া যদি শেয়ার করেন তাহলে সেটি প্যানিক ছড়াতে পারে।

নিশ্চিত না হয়ে তথ্য শেয়ার নয়: কোনো তথ্য একেবারে তার উৎস থেকে নিশ্চিত না হয়ে এই সময়ে শেয়ার করা উচিত না। এটা সত্য হতে পারে এমন ধারণা ভুলে যান। ভিডিও ও ছবির ব্যাপারে তাই শতভাগ নিশ্চিত হয়ে না হয়ে শেয়ার করলে সেটা ভুল তথ্য ছড়াতে পারে।

আবেগীয় পোস্ট থেকে দূরে থাকা চাই: আবেগমাখা পোস্টের অভাব নেই নেটে। এমন পোস্ট দেখে মনটা কেঁদে উঠতে পারে। মনে হতে পারে এটি শেয়ার করা নৈতিক দায়িত্ব। যাচাই করা ছাড়া এমন পোস্ট শেয়ার না দেওয়াই দায়িত্বশীল আচরণ হবে। তাই সবকিছুর আগে তথ্য যাচাই করতে হবে। ক্লেয়ার মিলনি বলেন, সবাই তার প্রিয়জনদের ভালোবাসে। তাদের ভালো রাখতে কিছু বিষয় তাদের সঙ্গে শেয়ার করে। কিন্তু সেটি কী সঠিক নির্দেশনা কি না তা আগে ভাবতে হবে।

 


সম্পর্কিত বিষয়:

করোনা ভাইরাস করোনা

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top