বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স আয়োজনের ঘোষণা বুলবুলের
প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০০
আপডেট:
৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০২
প্রথম মেয়াদে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেট বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দেশের নানা প্রান্তে বিসিবি সভাপতি নিজে গিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগে অংশ নিতে দেখা গেছে। দেশজুড়ে বিসিবির আঞ্চলিক অফিস চালু করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন বুলবুল।
এবার নতুন এক উদ্যোগের ঘোষণা দিলেন বিসিবি সভাপতি বুলবুল। দেশের নানা প্রান্তের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একসাথে করতে ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ক্রিকেট ছড়িয়ে আছে, আটটি বিভাগে ক্রিকেট ছড়িয়ে আছে। এমন সকলকে জানা, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে জানা, আমাদের প্রতিটি স্টেকহোল্ডার, যেমন জেলার ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট, জেলা ক্রীড়া অফিসার, জেলার ক্রিকেট কোচ, জেলার নারী উদ্যোক্তা, সকলকে এক ছাদের নিচে এনে আমরা জানতে চাইব বাংলাদেশ ক্রিকেটের কী দরকার। আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে সবাইকে সাহায্য করতে পারব। আমরা সকলে মিলে কীভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারব, সকলকে সম্পৃক্ত করতে পারব।’
আগামী ৯ এবং ১০ নভেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন বুলবুল, ‘দিনশেষে, আমরা সবাই বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলব, ক্রিকেট নিয়ে আনন্দ করব। ৯ ও ১০ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স। আশা করব, এই কনফারেন্স আমরা সফল করব এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সমৃদ্ধশালী করব, একে অপরকে জানব এবং এখান থেকে আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হবে।’
বুলবুল আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের সংগঠক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তাদেরকে এক ছাদের নিচে এনে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে ভিশন, যে মিশন, সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে আমরা যেন সকলের সেরাটা দিতে পারি, সকলকে জানতে পারি এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, এগিয়ে নিতে পারি, সেই লক্ষ্যেই আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স করছি।’
দেশের অন্যান্য প্রান্তে, নানা জেলা-উপজেলাতেও ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়া, ক্রিকেটের প্রচার এবং প্রসার বেশ জরুরি, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে উদ্দেশ্য, যে ভিশন, সেটা জানতে চাইলে আমাদেরকে প্রথমেই জানতে হবে জেলায়-উপজেলায় কী ক্রিকেট হচ্ছে। জেলা-উপজেলার কথা শোনার জন্য এবং ঢাকা থেকে আমরা বিসিবি কতটুকু সাহায্য করতে পারছি, এই মুহূর্তে জেলা-উপজেলায় শক্তি কতটা আছে, সেটা জানার পর যে গ্যাপটা থাকবে, তা আমরা পূরণ করব। এর মাধ্যমে আমরা সম্পর্ক স্থাপন করব এবং এর মাধ্যমে আমরা ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পারব ও সবাই ক্রিকেট নিয়ে আনন্দ করতে পারব।’
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: