প্রতি বছর ৩ কোটির বেশি ওমরা পালনকারীকে স্বাগত জানাতে চায় সৌদি আরব
প্রকাশিত:
২ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩০
আপডেট:
৩ জুলাই ২০২৫ ১১:৫১

প্রতি বছর ৩ কোটির বেশি ওমরা পালনকারীকে স্বাগত জানাতে চায় সৌদি আরব। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৩ কোটির বেশি ধর্মীয় পর্যটক বা হজ ও ওমরা পালনকারীকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটি।
মূলত ভিশন ২০৩০-কে সামনে রেখে সৌদি আরব ধর্মীয় পর্যটনকে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ইঞ্জিনে পরিণত করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশটি আরও বেশি সংখ্যক হজ ও ওমরাহ পালনকারীকে স্বাগত জানাতে এবং পর্যটন খাতে নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সৌদি আরব ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি ওমরাহ পালনকারীকে স্বাগত জানিয়েছে—যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৩ কোটির বেশি ধর্মীয় পর্যটককে আকৃষ্ট করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এ লক্ষ্য অর্জনে নেওয়া হয়েছে নানা রকম কৌশলগত বিনিয়োগ ও নীতিগত সংস্কার। এর মধ্যে রয়েছে মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে ২৫ লাখ করা এবং হজযাত্রীদের চলাচল সহজ করতে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
এই খাতের অর্থনৈতিক প্রভাব ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান। বর্তমানে ধর্মীয় পর্যটন সৌদি অর্থনীতিতে বছরে ১২০০ কোটি মার্কিন ডলার অবদান রাখছে এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। পবিত্র স্থানগুলোর নিকটে নতুন বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণ ও সহজতর ই-ভিসা প্রক্রিয়া যাত্রা সহজ করে তুলেছে এবং পর্যটকদের ব্যয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। শিল্প বিশ্লেষকরা বলছেন, এই খাতের প্রবৃদ্ধি ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করছে।
বিশাল নির্মাণকাজ চলমান থাকা ও বিশ্বব্যাপী ধর্মভিত্তিক ভ্রমণের আগ্রহ বৃদ্ধির ফলে সৌদি আরব ধর্মীয় পর্যটনের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ গন্তব্যে পরিণত হতে যাচ্ছে এবং একইসঙ্গে অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ প্রচেষ্টা জোরদার করছে।
সূত্র : হালাল টাইমস
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: