নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পুরোদমে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন
প্রকাশিত:
২৮ জুন ২০২৫ ১১:২২
আপডেট:
২৮ জুন ২০২৫ ১৭:৩১

সুর্নিদিষ্ট সময়সীমা ঘোষিত না হলেও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পুরোদমে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন সচিব জানিয়েছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক নীতিমালা সংশোধনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। অনলাইন বা পোস্টাল ভোটের বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও প্রবাসীদের নিবন্ধনের প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজও দ্রুত হচ্ছে।
গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন। তবে ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে, সংস্কার ও বিচারের অগ্রগতি সাপেক্ষে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনার কথাও বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
সে হিসাবে, নির্বাচন কমিশনের হাতে আছে ৭ থেকে ৯ মাস। জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে আগেভাগেই শেষ করতে হয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ। নির্বাচনী রোডম্যাপে থাকে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা। অতীতে সাধারণত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের অন্তত দেড় বছর আগে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ইসি।
ভোটের আগে দল নিবন্ধন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটার তালিকা প্রকাশ, বিধি সংস্কারসহ বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করতে হবে কমিশনকে। তাই নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষিত না হলেও অত্যাবশ্যক সব কাজই এগিয়ে রাখা হচ্ছে। যৌক্তিক বিবেচনায় ভোটার করার সুযোগ রাখতে সংশোধন করা হচ্ছে আইন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ব্যালট পেপার-বাক্স-সিল-বস্তা-অমোচনীয় কালি ইত্যাদি সংগ্রহের কাজ ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে চায় কমিশন।
তবে আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত হলেও ধীরে এগোচ্ছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের কাজ।
আখতার আহমেদ বলেন, সময়সীমা বলা যাচ্ছে না, কারণ রাজনৈতিক ঐকমত্যের সঙ্গে আরপিওর বিষয় সর্ম্পকিত। ঐকমত্যের পর সংশোধনীর প্রস্তাব--আরো কয়েকটি ধাপ আছে।
ইসি সচিব আরও জানান, দল নিবন্ধনের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। কারণ, এবার ১৪৭টি আবেদন জমা পড়েছে, যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: