কতটুকু জাম্বুরা খেলে ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হবে?
প্রকাশিত:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:২৪
আপডেট:
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৩

চলছে জাম্বুরার মৌসুম। বাজারে এখন বেশ কমদামেই মিলছে খেতে সুস্বাদু এই ফলটি। জাম্বুরায় কেবল ভিটামিন সি নয়, আছে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ ও ফোলেট। গড়পড়তা একটা জাম্বুরা খোসা ছাড়ানোর পর সেটির ওজন দাঁড়ায় ৫০০ বা ৬০০ গ্রামের মতো।
তাই মোটামুটিভাবে একটা জাম্বুরার চার ভাগের এক ভাগ খেলেই একজন প্রাপ্তবয়স্কের রোজকার চাহিদামাফিক ভিটামিন সি পূরণ হবে। তবে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ জাম্বুরা খেলে তা কিন্তু দেহে জমা থাকবে না। ফলে এক দিন বেশি পরিমাণ জাম্বুরা খেয়ে কয়েক দিনের চাহিদা মিটিয়ে নেওয়া যাবে, তেমনটা ভাবার সুযোগ নেই। তবে কিছুটা বেশি খেয়ে ফেললেও তেমন কোনো অসুবিধা নেই। পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায় বলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে বাড়তি ভিটামিন সি।
আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য ভিটামিন সি আবশ্যক, যা পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবেন জাম্বুরায়। ত্বকের স্বাভাবিক টান টান ভাব ধরে রাখতে কোলাজেন প্রোটিন তৈরি হওয়া চাই ঠিকঠাক। এই কোলাজেন তৈরির জন্যও প্রয়োজন ভিটামিন সি। দেহকে ভেতর থেকেও তরুণ রাখে এই ভিটামিন। আমাদের অন্ত্রে যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে জাম্বুরার আঁশ।
জাম্বুরার আঁশ রক্তের খারাপ চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখা চাই পর্যাপ্ত আঁশ। ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ফোলেট, কপার, পটাশিয়ামসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আমাদের সার্বিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে জাম্বুরার মতো ফল। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্যও জাম্বুরা দারুণ। তবে পটাশিয়াম বেশি থাকায় দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য জাম্বুরা ভালো নয়।
জাম্বুরার আঁশ খারাপ চর্বির মাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে। তবে যাদের রক্তে খারাপ চর্বি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ওষুধ সেবন করতে হয়, তাদের জন্য এটিকে সেই ওষুধের বিকল্প ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই।
বরং কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের ওষুধের সঙ্গে জাম্বুরা খাওয়া অনিরাপদ হতে পারে। তাই চর্বি কমানোর ওষুধ সেবন করলে এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখুন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: