বুধবার, ২৬শে মার্চ ২০২৫, ১২ই চৈত্র ১৪৩১

Shomoy News

Sopno


অফিস নিয়ে দুশ্চিন্তায়, জানুন চিন্তামুক্ত থাকার কৌশল


প্রকাশিত:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:২১

আপডেট:
২৬ মার্চ ২০২৫ ২০:৩৩

ছবি সংগৃহীত

কাজের পেছনে ছুটতে ছুটতে আমরা নিজেকে ভুলতে বসেছি। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই সকাল থেকে মধ্যরাত ব্যস্ত থাকেন কাজ নিয়ে। অফিস শেষ হলেই কাজের আর শেষ হয় না। কীভাবে কর্মস্থলে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রাখবেন, পদোন্নতি, বসের সুপাত্র হওয়ার মতো চিন্তা সবসময় মাথার ওপর চেপে থাকে। আর এসবের কারণে চাপ পড়ে মনে।

বর্তমানে অফিস কর্মীদের অধিকাংশই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন। ভোগেন অবসাদে। একদিকে পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্যতা নিয়ে দুশ্চিন্তা, আবার অন্যদিকে যোগ্যতা অনুযায়ী বেতনের অভাব, কর্মক্ষেত্রে রাজনীতি, চোখের সামনে অযোগ্যতাকে স্বীকৃতি প্রদান ইত্যাদি নানা কারণে মানসিক উদ্বেগ এবং অবসাদ স্বাভাবিক ঘটনা।

তাই বলে তো আর থেমে থাকলে চলবে না। মন দিয়ে কাজ করে কর্মস্থলে নিজের যোগ্যতা বাড়াতে হবে। সেসঙ্গে দুশ্চিন্তামুক্তও থাকতে হবে। কীভাবে কর্মক্ষেত্রে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবেন জানুন তার উপায়-

ইতিবাচক শুরু

অফিসের অবসাদকে দূরে রাখতে দিনের শুরু ভালো হওয়া চাই। দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে সব কিছুতেই দেরি হয়ে যায়। আর হাতে সময় কম থাকলে গুছিয়ে কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠুন। দেখবেন ঘরের সব কাজ আর দায়িত্ব হেসেখেলে করে ফেলতে পারছেন। সকালের ইতিবাচক এই পদক্ষেপ সারাদিন মন ভালো রাখবে। অফিসের দুশ্চিন্তা আর অবসাদও অনেকটা কমে যাবে।

কাজ গুছিয়ে নিন

কোন কাজের পর কোন কাজ করবেন তার একটা তালিকা তৈরি করে নিন। এতে খুব সুবিধা হয়। বাড়ি হোক কিংবা অফিস— গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ ভাগ করে ফেলুন। অফিসের ডেস্কে একটি কাজের তালিকা রাখুন। কাজ হয়ে গেলে তাতে টিক দিয়ে দিন। দেখবেন দুশ্চিন্তা ক্রমশ কমছে।

মাল্টিটাস্কার হতে যাবেন না

আপনি একাই সব পারবেন, এমন ভাবনা ঝেড়ে ফেলুন। মাল্টিটাস্কিং-এর মিথের ফাঁদে পেলে অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মীর ওপর অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দেয়। বসের মন পেতে একসঙ্গে একগাদা কাজ নিয়ে বসবেন না। দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করুন। পেশাদার হোন। নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা দেখুন। বাকি কাজে অপ্রয়োজনে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। দেখবেন, দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে।

পারফেকশন পানিশমেন্ট

কর্তৃপক্ষ যেমন কাজ চাইছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঠিক ততটাই দিন। সব কাজ করার সময় পারফেকশনের পানিশমেন্টে নাকানিচুবানি খেয়ে লোকের প্রশংসা কুড়ানোর দরকার নেই। এতে নিজের ওপর চাপ বাড়ে। কাজকে খুব ব্যক্তিগত স্তরে নিয়ে যাবেন না। প্রফেশনাল থাকতে চেষ্টা করুন।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top