শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


চকলেটেও রয়েছে বিষাক্ত উপাদান


প্রকাশিত:
১১ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৪৬

আপডেট:
১১ অক্টোবর ২০২০ ১৬:৫০

ছবি-সংগৃহীত

মিষ্টি মুখ করাতে চকলেট খাওয়াচ্ছেন! একটু জেনে রাখুন এতেও থাকতে পারে ক্ষতিকর উপকরণ।

চকলেট পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। তবে চকলেটে থাকা ক্ষতিকারক উপাদান মানবদেহে নানারকম ঝুঁকি সৃষ্টি করে।

স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেনদ অবলম্বনে চকলেটে থাকা ক্ষতিকারক উপাদান সম্পর্কে জানানো হল।

কোকোয়া, চিনি ও অন্যান্য কয়েকটি উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি হয় ভালোবাসার খাবার চকলেট।

এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর এই বিষয়ে সবাই জানেন।

তবে চকলেটে চিনি ছাড়াও আরও কিছু বিষাক্ত উপাদান। যদিও কোকোয়া প্রাকৃতিক উপাদান কোকো বীজ থেকে সংগ্রহ করা হয়। আর এটা বেশ কিছু বিষাক্ত উপাদান বহন করে।

বিশ্বের অধিকাংশ চকলেট গাছ ল্যাটিন আমেরিকায় অবস্থিত।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রিয় রোগতত্ত্ব সংস্থা ‘সিডিসি’র মতে চকলেটে ক্যাডমিয়ামের মতো আরও কিছু উপাদান রয়েছে যা ডায়রিয়া, বমি এমনকি কিডনি রোগেরও কারণ হতে পারে।

ইকুয়াডোর ও বেলজিয়ামের একদল গবেষক কোকো বীজ থেকে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ হ্রাস করার উপায় আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে ‘দ্যা জার্নাল অব এনভাইরোনমেন্টাল কোয়ালিটি’তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে।

গবেষকদলের সদস্য ডেভিড আরগেজো বলেন, “ক্যাডমিয়ান বিষয়টি কৃষকদের জীবন-জীবিকার জন্য হুমকির কারণ। কেননা এই পণ্যগুলো ব্যবসায়ের উপযোগী নাও হতে পারে এবং অনেক ক্রেতাই দূষিত কোকোবীজ কিনতে পছন্দ করেন না।”

তিনি আরও বলেন, “কার্যকর উপায়ে কোকোবীজ থেকে ক্যাডমিয়াম দূর করতে কোকো গাছ কীভাবে এইসকল উপাদান গ্রহণ করে সে সম্পর্কে বুঝতে হবে।”

গবেষণার মাধ্যমে মাটি থেকে ক্যাডমিয়াম দূর করার উপায় জানা গেলেও গাছ থেকে তা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানা যায়নি। কারণ গাছের মূল মাটির অনেক গভীরে বিস্তৃত থাকে।

অন্যান্য উদ্ভিদ যেমন- ভুট্টা, সূর্যমুখি ও অন্যান্য গাছের মূল মাটির অগভীর অংশ পর্যন্ত থাকে। ফসল রোপন ও সংগ্রহের সময় তা আরও গভীরে যায়।

ক্যাডমিয়াম দূর করার সহজ উপায় হল মাটিতে চুন মেশানো (টক ফলের গাছে এটা মেশানো যাবে না)।

মাটিতে চুল মেশানো হলে তা গভীর পর্যন্ত যায়। আর এসব উপাদান কমাতে সহায়তা করে।

কোকো গাছের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় না। কারণ এই গাছ প্রতি বছর রোপন করা হয় না।

একটি পরীক্ষায় গ্রিনহাউজে থাকা কোকো গাছের মাটিতে চুল মেশানো হয়েছিল এবং তখন সে গাছের পাতায় কম ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া যায়।

তবে এটা এখনও সফলতার সঙ্গে করা সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এর স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য গবেষণা চালানো হচ্ছে।

ততদিন পর্যন্ত চকলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থেকে পরিমাণে কম গ্রহণ করাই হবে ভালো বিষয়।


সম্পর্কিত বিষয়:

চকলেট স্বাস্থ্য আমেরিকা

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top