সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প
প্রকাশিত:
৩০ মে ২০২০ ০২:০৫
আপডেট:
১৩ অক্টোবর ২০২৪ ০০:৩৬
ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জন্য একটি নির্বাহী আদেশ সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই আদেশের কারণে আইনগত কিছু সুরক্ষা হারাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এছাড়া ওই নির্বাহী আদেশে ফেসবুক-টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো ট্রাম্পের পোস্টকৃত দুটি টুইটে ফ্যাক্ট চেক ট্যাগ লাগিয়ে দেয় টুইটার। এরপরই এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হুঁশিয়ারি দেওয়ার একদিন পর ওই নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দুটি টুইটের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে টুইটার কর্তৃপক্ষ। ওই দুটি টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছিলেন, মেইলে পাঠানো ব্যালটে কারচুপির সুযোগ থাকবে। পরে টুইট দুইটির নিচে টুইটার কর্তৃপক্ষ লিখেছে, মেইলে পাঠানো ব্যালট সম্পর্কে সঠিক তথ্যাদি জেনে নিন। ওই কথায় ক্লিক করলেই একটি ফ্যাক্ট চেক পৃষ্ঠায় ল্যান্ড করছে নেট ব্যবহারকারীরা। সেখানে আরও কয়েকটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, যেগুলোতে ক্লিক করলে ট্রাম্পের বক্তব্য খণ্ডনকারী খবর ও নিবন্ধগুলো পড়ার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। টুইটে জানানো ভুল, বিভ্রান্তিকর বা খতিয়ে না দেখা তথ্যাদি পরিবেশন বন্ধ করতে যে টুইটার বদ্ধপরিকর, সে কথাও সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরপরই সোশাল মিডিয়া বন্ধের হুশিয়ারি দেন ট্রাম্প। বুধবার সকালে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থীরা সেন্সরশিপের শিকার হচ্ছে। ট্রাম্প বলেন, রিপাবলিকানরা মনে করছে যে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো রক্ষণশীল মতামত রুদ্ধ করতে চাইছে। এমনটা ঘটার আগে আমরা তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো বা বন্ধ করে দেবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: