রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


কেন ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা?


প্রকাশিত:
১১ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:০০

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৪০

ফাইল ফটো/সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নেয়া দরকার কি না সে সিদ্ধান্ত নিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত এই সপ্তাহে শুনানি করবে। ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের দীর্ঘস্থায়ী সংহতির পেছনে রয়েছে ইতিহাস।

দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) তে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনেছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার আদালত উভয় পক্ষের যুক্তি শুনবে এবং এরপর ইসরায়েলের গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার অন্তর্বর্তী আদেশ জারি করবে কি না তা সিদ্ধান্ত নেবে। খবর বিবিসির

দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিভাগের মুখপাত্র ক্লেসন মনিয়েল্লা বলেছেন, “গাজায় চলমান গণহত্যার প্রেক্ষাপটে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে ১৯৪৮ সালের ‘গণহত্যা প্রতিরোধ ও শান্তি সংক্রান্ত কনভেশনের’-আওতায় যে কার্যক্রমগুলোকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে সেগুলোও গাজায় সংঘটিত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।”

দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইসরায়েল উভয়েই এই কনভেনশানের স্বাক্ষরকারী। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য দায়ী প্রমাণ করতে পুরো মামলাটির কার্যক্রম কয়েক বছর চলতে পারে, তবে এই সপ্তাহের শুনানিটি হচ্ছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জরুরি একটি পদক্ষেপ।

ব্রিস্টলের ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অফ ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকার আইনের অধ্যাপক গেরহার্ড কেম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনি ইস্যুর প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থন দীর্ঘস্থায়ী।

কেম্প বলেন, “এর একটি ঐতিহাসিক কারণও রয়েছে। ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার শাসক দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সাথে ফিলিস্তিনি জনগণের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক আছে। তাই ইসরায়েলকে আইসিজের সামনে আনার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব দেয়ার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে।”

আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা এএনসি নিজেরাই একসময় একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত মুক্তি আন্দোলন ছিল। এএনসি দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাই তারা ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার মধ্যে নিজেদের প্রতিচিত্র দেখে।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন সাবেক ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিরা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা সম্পূর্ণ হবে না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top