এবার নিউজিল্যান্ড সৈকতে আটকা পড়ে ৫০০ তিমির মৃত্যু
প্রকাশিত:
১২ অক্টোবর ২০২২ ০১:৪১
আপডেট:
১২ অক্টোবর ২০২২ ০৩:০৩

গত কয়েক দিনে নিউজিল্যান্ডে শত শত পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছে। মাত্র তিন দিনের মধ্যে দেশটির প্রত্যন্ত চ্যাথাম দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে আটকা পড়ে প্রায় ৫শ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর আগে চ্যাথাম দ্বীপে ২৫০ তিমির মৃত্যু হয়। তিনদিন পর ওই একই দ্বীপে আরও ২৪০ তিমির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই ৫শ তিমির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। পাইলট তিমি মূলত ডলফিন পরিবারেরই সদস্য।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে বেশ দূরে দ্বীপটি অবস্থিত। সেকারণে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া হাঙরের আতঙ্কের কারণে সেখানকার পরিস্থিতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এর আগে ২০১৭ সালে প্রায় ৭শ পাইলট তিমি সেখানে আটকা পড়ে। একসঙ্গে এত তিমি কেন সমুদ্র তীরে আটকা পড়ছে বা মারা যাচ্ছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। বিজ্ঞানীরাও এর সঠিক কারণ বের করতে পারেননি। ওই এলাকায় প্রচুর হাঙ্গর থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ তিমিগুলোকে সঠিক সময়ে উদ্ধার করতে পারেনি।
তিনদিন আগেই ওই দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে আটকা পড়ে প্রায় ২৫০ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়। সে সময় দেশটির কনজারভেশন বিভাগ জানায়, তিমিগুলো দ্বিপটির উত্তরপশ্চিম দিকে আটকা পড়েছিল।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হাঙরের আক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এগুলো পুনরায় ভাসিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ মানুষ এবং তিমি উভয়ের জন্যই হাঙর বেশ বিপজ্জনক।
এর আগেও বহুবার চ্যাথাম দ্বীপে আটকা পড়ে অনেক তিমির মৃত্যু হয়েছে। ১৯৮১ সালে ওই দ্বীপে আনুমানিক এক হাজার তিমি আটকা পড়ে। এছাড়া মাত্র দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত পশ্চিম তাসমানিয়ায় প্রায় ২শ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়। যদিও এসময় ৪৪টিকে পানিতে ভাসিয়ে দিতে সক্ষম হয় সেখানকার কর্তৃপক্ষ।
প্রথম দিকে মনে করা হয়েছিল যে, আটকা পড়া অর্ধেক তিমিকে হয়তো বাঁচানো যাবে। কিন্তু মাত্র ৩৫টি তিমি শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে। আটকে পড়া তিমিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে কম্বল দিয়ে ঢেকে প্রচুর পানি ঢালতে থাকেন স্থানীয় লোকজন।
পাইলট তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং দলগত ভাবে থাকার কারণে বেশ সুপরিচিত। একটি বড় দলে তারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: