তীব্র চুলকানি ও অস্বস্তির দাদ থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন
প্রকাশিত:
২৪ জুন ২০২৫ ১০:৪২
আপডেট:
২৪ জুন ২০২৫ ১৬:১৩

দাদের সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। শরীরের যেকোনো স্থানে দাদ হতে পারে এবং এর ফলে তীব্র চুলকানি হয়। এটি আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য মানসিক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, কারণ জনসমক্ষে বা যেকোনো পরিস্থিতিতে চুলকানি অনুভব করাটা বিব্রতকর। এই কারণে, দাদের সমস্যায় অনেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
এই পরিস্থিতিতে দাদের সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দাদ একটা সংক্রামক রোগ। এটি হলে কেউ কিছুতেই চুপচাপ বসে থাকতে পারে না। শরীরের কোথাও না কোথাও চুলকাবেই। সেটা কারও উরুর বা কুঁচকির অংশে হতে পারে। ঘাড়ে হতে পারে। নিতম্বসহ শরীরের যেকোনো অংশেই দাদ পারে। গোলাকার আকারের এই দাদ মানুষকে প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ফেলে।
দাদ কেন হয়
এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, মোট ৪০ ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ দাদ তৈরি করতে পারে। যদি কারও দাদ থাকে, তবে তা অন্যের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। যাদের দাদ আছে, তাদের পোশাক পরিষ্কার রাখা উচিত। শুধু তাই নয়, একজনের কম্বল অন্যজন ব্যবহার করলেও হতে পারে দাদ।
চিকিৎসকের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দাদ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত পোশাকাদি ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার করা উচিত। তাদের সবসময় ত্বক পরিষ্কার করার দিকে নজর দেওয়া দরকার। যে পণ্য শরীরে ঘষতে হয়, তেমন পণ্য ব্যবহার না করাই উচিত। তাদের কম্বল এবং কাপড় ভাগাভাগি এড়িয়ে চলাই উচিত। তিনি সতর্ক করে জানিয়েছেন, তীব্র সুগন্ধযুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে দাদ বাড়তে পারে।
চিকিসকরা জানিয়েছেন, ঘরোয়া উপায়ে চাইলে দাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এজন্য প্রথমে রসুন কুঁচিয়ে নিন। একটি পাত্রে রসুনের রস ২ ফোঁটা নিন। তার সঙ্গে একচামচ নারিকেল তেল বা জলপাই তেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার যেখানে দাদ আছে, সেখানে লাগান। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দাদ দূর হয়ে যাবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: