রবিবার, ১৭ই আগস্ট ২০২৫, ২রা ভাদ্র ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


প্রাথমিকের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের বিশেষ রুটিনে পাঠদানের নির্দেশ


প্রকাশিত:
১৭ আগস্ট ২০২৫ ১৫:১২

আপডেট:
১৭ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৫৯

ছবি ‍সংগৃহিত

দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানের সুবিধার্থে একটি সাপ্তাহিক (নমুনা) ক্লাস রুটিন প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য এই রুটিনে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে শ্রেণিকক্ষভিত্তিক পাঠ পরিকল্পনার পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষাভিত্তিক পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের যেন ভাষাগত বৈচিত্র্য মেনে পাঠদান করা হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রুটিন অনুসারে, ১ম ও ২য় শ্রেণির এক শিফটের ক্লাস রুটিন সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে দৈনিক সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হয়ে মোট চার পিরিয়ডে সম্পন্ন হবে। বাংলা ও গণিত প্রতিদিন ৫ দিন, ইংরেজি ৪ দিন, ধর্ম শিক্ষা ২ দিন এবং শিল্পকলা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও সমন্বিত (সা.বি ও প্রা.বি) বিষয়ের ক্লাস সপ্তাহে ১ দিন করে অনুষ্ঠিত হবে। পঠন ও লিখন দক্ষতা উন্নয়ন ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্যও একটি দিন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

আর ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির এক শিফটের রুটিনে রয়েছে দৈনিক ৭টি পিরিয়ড। যার মধ্যে প্রথমটি ৬০ মিনিট এবং শেষটি ৩০ মিনিটের। বাংলা, ইংরেজি ও গণিত সপ্তাহে ৫ দিন পড়ানো হবে। বিজ্ঞান সপ্তাহে ৪ দিন, ধর্ম শিক্ষা ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (বাওবি) সপ্তাহে ৩ দিন, এবং শিল্পকলা, চারু ও কারুকলা বা সংগীত, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতি বিষয় ১ দিন করে বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও পঠন ও লিখন দক্ষতা উন্নয়ন, এসআরএম, সহশিক্ষা কার্যক্রমের জন্যও সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর জন্য দুপুর ১২টা ৫ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৃথক রুটিন তৈরি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দৈনিক ৫টি পিরিয়ড ও একটি সমাবেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ধর্ম শিক্ষা, বাওবি, বিজ্ঞান, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা, শিল্পকলা, চারু ও কারুকলা/সংগীত বিষয়গুলো নির্দিষ্ট নিয়মে সপ্তাহজুড়ে ভাগ করে পড়ানো হবে। পাশাপাশি পঠন ও লিখন দক্ষতা, সহশিক্ষা কার্যক্রম ও স্টাফ মিটিং-এর জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

রুটিন অনুসারে, কিছু সাধারণ নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- প্রধান শিক্ষকরা তাদের বিদ্যালয়ের বাস্তবতা অনুযায়ী রুটিনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারবেন।

তবে সময় বরাদ্দ ঠিক রেখে প্রথম পিরিয়ডের শেষ ১০-১৫ মিনিট শিক্ষার্থীদের পঠন ও লিখন দক্ষতা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অনুসারে পাঠদান নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে যেন একটি শ্রেণিতে নির্দিষ্ট বিষয়ের পারদর্শী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। রুটিনে সহশিক্ষা কার্যক্রম যেমন– গল্প বলা, কবিতা আবৃত্তি, কুইজ, চিত্রাঙ্কন, বিজ্ঞান উদ্ভাবন, ইংলিশ স্পিকিং ও এসআরএম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক হবে।

উল্লেখ্য, যে সব বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ের রুটিনে নির্ধারিত সময়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় রচিত পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু অনুযায়ী পাঠদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া শীত বা গ্রীষ্মকালে ভৌগোলিক অবস্থা বা জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে স্থানীয়ভাবে রুটিনে পরিবর্তন আনা যাবে। মূল্যায়ন কার্যক্রমের সব উত্তরপত্র এক বছর সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top