এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর, সময় বাড়ল ১৫ মিনিট
প্রকাশিত:
৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৫১
আপডেট:
৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫২
দেশজুড়ে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কেউ গেটে পৌঁছালে তাকে আর ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এদিকে, এ বছর এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ ডিসেম্বর দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একযোগে শুরু হবে। এ বছর এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই পরীক্ষা চলবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। এ লক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
এতে বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষা দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশের সময় স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম এবং এইচএসসি/সমমানের প্রবেশপত্র বা রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটরসহ কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা বাড়তি সামগ্রী আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ১০০টি এমসিকিউ, প্রতিটির মান ১। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন হলো—জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি ১৫। পাশ নম্বর ৪০। ভুল উত্তরে ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।
২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসে ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫ আসনসহ মোট ৫ হাজার ৬৪৫ আসন রয়েছে। বেসরকারি কলেজে এমবিবিএসে রয়েছে ৬,০০১ এবং বিডিএসে ১,৪০৫ আসন রয়েছে। মোট মিলিয়ে আসন সংখ্যা ১৩ হাজার ০৫১। এসব আসনের জন্য আবেদন করেছেন ১ রাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। তাদের মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন ছেলে এবং ৭৩ হাজার ৬০৪ জন মেয়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই এবং এ বিষয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: