একমাস ধরে প্রতি রাতে দুধ ও গুড় একসঙ্গে খেলে কী হয়?
প্রকাশিত:
১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:১৬
আপডেট:
১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:১১
অনেকের কাছেই ঘুমের আগে এক গ্লাস গরম গুড়ের দুধ আরামদায়ক একটি রীতিতে পরিণত হয়েছে। এর প্রশান্তিদায়ক এবং পুষ্টিকর গুণাবলী শরীরের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। উষ্ণ দুধ এবং প্রাকৃতিক গুড়ের এই সহজ মিশ্রণটি কেবল ঐতিহ্যবাহীই নয়, বরং সহজে তৈরিও করা যায়। রাতে যখন আপনার প্রশান্তিদায়ক কিছুর প্রয়োজন হয় তখন এটি সাহায্য করতে পারে। যদিও উভয় উপাদানেরই নিজস্ব পুষ্টিগুণ রয়েছে, তবে ধারাবাহিকভাবে এই দুই উপাদান একসঙ্গে খেলে তা শরীরে লক্ষণীয় পরিবর্তন আনতে পারে। একমাস ধরে প্রতি রাতে দুধ ও গুড় একসঙ্গে খেলে কী হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. উন্নত ঘুমের মান
গরম দুধে স্বাভাবিকভাবেই ট্রিপটোফ্যান থাকে। এটি একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড যা মেলাটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। মেলাটোনিন হলো ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন। এটি দ্রুত ঘুমাতে এবং গভীর বিশ্রাম উপভোগ করতে সাহায্য করে। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ খাবার ঘুমের মানের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
২. হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট ফাঁপা কমায়
গুড় মৃদু হজমে সহায়তা করার জন্য পরিচিত কারণ এটি পাচক এনজাইম নিঃসরণে উৎসাহিত করে। উষ্ণ দুধের সঙ্গে গুড় মিশ্রিত করলে তা পেটকে শিথিল করে এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। রাতের খাবারের পরে গুড় ও দুধ পেট ফাঁপা কমায়। এর প্রভাব হালকা কিন্তু নিয়মিত ব্যবহারে লক্ষ করা যায়।
৩. আয়রন এবং শক্তির প্রাকৃতিক বৃদ্ধি
গুড়ে অল্প পরিমাণে আয়রন এবং খনিজ থাকে, যা নিয়মিত সেবন করলে শক্তির মাত্রা বজায় রাখে। যদিও এটি আয়রনের ঘাটতির চিকিৎসা নয়। তবে এটি আপনার খনিজ গ্রহণে অবদান রাখতে পারে। রাতে খেলে এটি সতেজ বোধ করতে সাহায্য করে, কারণ স্থিতিশীল আয়রনের মাত্রা ক্লান্তি কমাতে ভূমিকা পালন করে।
৪. শান্ত মেজাজ এবং চাপের মাত্রা হ্রাস
সাধারণভাবে উষ্ণ পানীয় স্নায়ুতন্ত্রকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে। দুধে বি ভিটামিনের মতো পুষ্টি থাকে যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন সান ডিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির ২০২৫ সালের একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে যেখানে গরম পানীয় ভালো ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত।
৫. ত্বক সুস্থ থাকে
গুড় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, অন্যদিকে দুধ প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ করে যা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। নিয়মিত এই মিশ্রণটি পান করলে ত্বকের হাইড্রেশন উন্নত হতে পারে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। যদিও এটি ত্বকের যত্নের পণ্যের মতো কাজ করবে না, তবে সঠিক হাইড্রেশন এবং ডায়েটের সঙ্গে মিলিত হলে অভ্যন্তরীণ পুষ্টি বৃদ্ধি পাবে।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: