শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


করোনায় বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা


প্রকাশিত:
১২ মে ২০২০ ০২:০৯

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ০৫:১৪

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসে সংক্রমণের কারণে দেড় মাস ধরে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় প্রায় অচল হয়ে পড়েছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। কবে নাগাদ এ বন্দর খুলবে তার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা বাণিজ্য সচলের জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২২ মার্চ বেনাপোল স্থল, ২৫ মার্চ থেকে রেলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এবং ১৩ মার্চ থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত ৩০ এপ্রিল স্বল্প পরিসরে আমদানি সচল হলেও তৃতীয় দিনের মাথায় ভারত অংশে শ্রমিকদের বাধায় তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। তবে এপথে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতে আটকে থাকা বাংলাদেশিরা প্রতিদিন কমবেশি দেশে ফিরছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, অনেকবার দাবি জানিয়ে এক মাস পর বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য সচল হয়েছিল। স্বল্প পরিসরে তিন দিন আমদানি চলার পর তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। কবে আবার বাণিজ্য সচল হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এতে আটকে থাকা পণ্যে তারা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে খোলা রাখা শিল্প কারখানাগুলোতে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের কারণে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢুকছে না। বেনাপোল বন্দরেও রফতানি পণ্য নিয়ে ভারতে ঢোকার অপেক্ষায় আটকে পড়েছে ট্রাক চালকরা। তবে যাতে স্বল্প পরিসরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সচল হয় তার জন্য সব ধরনের চেষ্টা তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গত ২৫ মার্চ থেকে রেলপথে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এতে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারেও আটকা পড়ে আছে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, ফ্লাই অ্যাশ, তুলা, পাথর, জিপসাম, গমসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। ভারত অংশে লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত বাণিজ্য সচলের সম্ভবনা কম বলে জানান তিনি।

প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিকটন পণ্য আমদানি হচ্ছে। যা থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস সামগ্রী, তৈরি পোশাক, শিল্পকারখানা ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, কেমিক্যাল ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখ্যযোগ্য।


সম্পর্কিত বিষয়:

যশোর বেনাপোল বন্দর

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top