শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


দুর্ভোগ

যশোরে শীতের সঙ্গে বৃষ্টি


প্রকাশিত:
১৮ জানুয়ারী ২০২৪ ১০:২০

আপডেট:
৩ মে ২০২৪ ০৫:৪৪

ফাইল ছবি

যশোরে শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ভোর থেকে সকল ৯টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির পরতে থাকে। এর পরে শুরু হয় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত।

শীতের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টিতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ছেদ পড়েছে। বৃষ্টিতে কর্মজীবীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।

যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমানঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, এদিন জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ২০মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গত কয়েক দিনের শীতে কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে অনেককে।

জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দরিদ্র অসহায় ছিন্নমূলদের জন্য ৬১ হাজার কম্বল বরাদ্দ ছিল যার ৫৫ হাজার কম্বল ইতোমধ্যে উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর শীত বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম এ বছর শুরু হয়নি বললেই চলে। জেলায় তেমন কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল বা দরিদ্রদের জন্য কম্বল বিতরণ করতে দেখা যায়নি। গ্রামাঞ্চলের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

প্রচণ্ড শীতের মাঝেও নিম্নআয়ের মানুষের জীবিকা সন্ধানের চেষ্টা করছেন। কথা হয় ইজিবাইক চালক শহরের ধর্মতলা এলাকার আব্দুল আলীমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোর থেকে শীতের সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। তার সঙ্গে বাতাস তো আছে। বৃষ্টি ও শীতে কারণে ইজিবাইক চালাতে কষ্ট হচ্ছে। অন্য বছর বিভিন্ন সংগঠনের থেকে কম্বল পেলেও এ বছর তিনি কোনো কম্বল পাইনি।

রিকশাচালক রমজাল আলী বলেন, এ শীতে হাত-পা সব কালা হয়ে যাচ্ছে। রিকশার হ্যান্ডেল ধরে রাখা যাচ্ছে না। গতকালের শীতের চেয়ে আজ বৃষ্টির কারণে বাইরে লোকজন কম হওয়ায় ভাড়া পাচ্ছি না। শীত নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় আগুন পোহায়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।

যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী আহসান আব্দুল্লাহ লাবিন বলেন, শীতে বাইরে চলাচল করা যাচ্ছে না। তারপরও ভোর থেকে আবার বৃষ্টি পড়ছে। এরপরেও আমাদের কোচিং প্রাইভেট চালু আছে, তাই বাধ্য হয়ে বাইরে বেরিয়েছি।

জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম বলেন, জেলার অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৬১ হাজার কম্বল বরাদ্দ ছিল, তার মধ্যে ৫৫ হাজার কম্বল বিতরণ হয়েছে। এছাড়াও আরও ৭৫ হাজার কম্বলের চাহিদার কথা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।


সম্পর্কিত বিষয়:

যশোর বৃষ্টি কম্বল শীত

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top