দেখে না ছেলে, খেতে দেয় অন্য কেউ, মৃত্যুর অপেক্ষায় যুবরাজের বাবা
প্রকাশিত:
১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১০:২০
আপডেট:
১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৪১
‘পাকিস্তান দল নতুন করে গড়ে দিবো’, ‘কপিল দেবের মাথায় গুলি’,- নানা সময়ে ক্রিকেট নিয়ে বিতর্কিত কথা বলে শিরোনামে এসেছেন যোগরাজ সিং। তিনি ভারতের সাবেক ব্যাটার যুবরাজ সিংয়ের বাবা। আবারো তিনি শিরোনামে, এবার নিজের অসহায় জীবনের কথা বলে। যোগরাজের দিনকাল এখন একাকিত্বেই কাটছে। পাশে কেউ নেই। খাবার দিয়ে যায় অচেনা লোকেরা। এতটাই দুর্বিষহ অবস্থা যে মৃত্যুর দিন গুনছেন যুবরাজের বাবা।
এক সাক্ষাৎকারে যোগরাজ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন, ‘আমি নিজের মা, সন্তান, পূত্রবধূ, নাতি-নাতনি, পরিবারের সকলকে ভালোবাসি। কিন্তু কারো থেকে কখনো কিছু চাই না। আমি মৃত্যুর জন্য তৈরি। আমার জীবন সম্পূর্ণ। যে দিন ঈশ্বর চান আমাকে নিজের কাছে ডেকে নিতে পারেন। আমি ঈশ্বরের কাছে ঋণী থাকব।’
যোগরাজের প্রথম স্ত্রী শবনমের ঘরের দুই সন্তান যুবরাজ এবং জোরাভর। যুবরাজ আগেও একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাবা-মায়ের এতই ঝগড়া হতো যে, তিনি তাদের বিচ্ছেদ চাইতেন। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। এরপর যোগরাজ বিয়ে করেন নীনা বুন্দেলকে। তাদের এক ছেলে ভিক্টর এবং মেয়ে আমনজ্যোৎ রয়েছে।
যোগরাজ বলেছেন, ‘রোজ বিকেলে একা একা বসে থাকি। ঘরে কেউ থাকে না। অচেনা লোকের খাবারের অপেক্ষায় থাকি। কেউ কেউ খাবার দিয়ে যায়। কাউকে নিয়ে চিন্তা করি না। খিদে পেলে অনেকেই খাবার দিয়ে যায়। বাড়িতে রান্নার লোক আছে। ওরা খাবার করে নিজেদের মতো বাড়ি চলে যায়।’
শবনমের সঙ্গে বিচ্ছেদেই তার জীবনের কাল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন যোগরাজ, ‘যুবরাজ এবং ওর মায়ের ছেড়ে যাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল। যার জন্য গোটা জীবন দিয়েছি সে এভাবে ছেড়ে চলে যেতে পারে! এভাবে অনেক কিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ঈশ্বরকে জিজ্ঞাসা করেছি, কী এমন করলাম যে সবাই ছেড়ে গেল? কিছু ভুল করেছি ঠিকই। কিন্তু আমি নির্দোষ। কারো খারাপ করিনি কোনোদিন।’
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: