আর্জেন্টাইন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন ইয়ামাল
প্রকাশিত:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৫:১৩
আপডেট:
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১৮:০৯

স্প্যানিশ ফুটবল সেনসেশন লামিন ইয়ামাল। ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই ফুটবল মাঠে নিজের দক্ষতা দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। তবে দুরন্ত এ কিশোরের প্রেম নিয়েও তখন থেকেই আলোচনা। বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গেই তাঁকে দেখা গেছে।
গত মৌসুম শেষে যখন ছুটি কাটাচ্ছিলেন তখনও এক তরুণীর সঙ্গে তার ছবি বেশ ভাইরাল হয়। ইয়ামাল আসলে কার সঙ্গে প্রেম করছেন তা নিয়েও তখন থেকেই ভক্তদের জল্পনা-কল্পনা।
এসব জল্পনা-কল্পনারই অবসান ঘটালেন ইয়ামাল। বার্সেলোনার তরুণ তারকা নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নতুন প্রেমিকা নিকি নিকোলের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে হইচই ফেলে দিয়েছেন। ৩ কোটি ৭৬ লাখ ফলোয়ারের সামনে ভালোবাসার এই ঘোষণা দেন ১৮ বছর বয়সি ইয়ামাল।
শনিবার রাতে লেভান্তের বিপক্ষে বার্সেলোনার নাটকীয় জয়ে বড় ভূমিকা ছিল ইয়ামালের। তবে উত্তেজনা যেন এখানেই শেষ হয়নি। এরপরই প্রেমিকার সঙ্গে ছবি দিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় ঝড় তোলেন তিনি। ছবিটি ছিল লাতিন গায়িকা নিকি নিকোলের ২৫তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে।
আর্জেন্টিনার জনপ্রিয় গায়িকা নিকি নিকোল বর্তমানে স্প্যানিশ ফুটবল তারকা লামিন ইয়ামালের সঙ্গে প্রেম করছেন, এ খবর এখন অনেকটাই নিশ্চিত। ২০২৫ সালের গ্রীষ্মে দু’জনকে একসঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যাওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়। এরপর নিকোলের ২৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দু’জনের একটি ছবি পোস্ট করেন, তখন সম্পর্কটি নিয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকে না।
নিকির পুরো নাম নিকোল ডেনিস কুকো। তিনি একজন সফল গায়িকা, র্যাপার এবং গীতিকার। "ওয়াপো ত্রাকেতেরো", "কোলোকাও" আর "মামিচুলা"- এসব জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে তিনি দারুণ পরিচিতি পেয়েছেন। আটবার লাতিন গ্র্যামির জন্য মনোনীত হয়েছেন এবং জিতেছেন অনেক নামকরা পুরস্কার। গান তৈরি করা ছাড়াও নিকি নিয়মিত পারফর্ম করেন এবং বিশ্বজুড়ে সফরে যান।
কোথা থেকে উঠে এলেন নিকি?
নিকি নিকোলের জন্ম ২০০০ সালের ২৫ আগস্ট, আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরে। ছোটবেলায় পারিবারিক পরিবেশের প্রভাব যে তার সঙ্গীতজীবনে গভীরভাবে কাজ করেছে, তা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। বিলবোর্ড-এর সঙ্গে ২০২২ সালের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “রোসারিও আমার কাছে আশ্রয়স্থল, যেটার মতো আর কোথাও খুঁজে পাই না। আমি সেই প্রজন্মে বড় হয়েছি যারা এখনো রাস্তায় গিয়ে খেলাধুলা করত... খেলতে গিয়ে কাদামাখা অবস্থায় বাড়ি ফিরতাম।”
সেই শৈশবেই গানের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। এক সাক্ষাৎকারে ওয়ান্ডারল্যান্ড ম্যাগাজিন-কে বলেন, “ছোটবেলায় আমি বাসায় গান গাইতাম, রান্নাঘরে বা যেখানেই সুযোগ পেতাম। এমনকি ঝাড়ু হাতে মাইক্রোফোন বানিয়ে গান গাইতাম পরিবারের সামনে। তখন থেকেই তারা আমাকে উৎসাহ দিয়ে এসেছে, আজও আছে।”
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: