ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে হার, মাঠেই কাঁদলেন নেইমার
প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১০:৪৮
আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৪:২৫

খেলার মাঝে হতাশা লুকাতে পারেননি। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলেন না। মাঠে বসেই কাঁদতে শুরু করলেন নেইমার জুনিয়র। কয়েকজন এগিয়ে এসে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু একটু আগে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে হারের স্বাদ পাওয়া নেইমার কিছুতেই থামছিলেন না। বলা যায় এই ধাক্কা সামলাতে নেইমারের নিশ্চিতভাবে লম্বা সময় লাগবে।
আজ সকালে ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে ৬-০ গোলে হেরেছে নেইমারের দল সান্তোস। ব্রাজিলিয়ান লিগ সিরি আ’র এই ম্যাচে কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি নেইমারের দল। ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য মাত্র এক গোল খেয়েছিল সান্তোস। তখনও বোঝা যায়নি দ্বিতীয়ার্ধে কি আসতে চলেছে। দ্বিতীয়ার্ধে ভাস্কো দা গামা একে একে পাঁচবার সান্তোসের জালে বল জড়িয়ে নেইমারকে বড় ধাক্কাটাই যেন দিয়েছে।
এই ম্যাচের আগে নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় হার ছিল ৪-০ গোলের ব্যবধানে। ২০১১ সালে সান্তোসে খেলার সময় বার্সেলোনার বিপক্ষে (ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচ) এবং ২০১৭ সালে বার্সেলোনায় খেলার সময় পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে এমন হারের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। যদিও পিএসজিকে পরের লেগে হারিয়ে ঐতিহাসিক রেমন্টাডা রচিত হয়েছিল তারই নেতৃত্বে।
কিন্তু আজকের হার সবকিছুকে পেছনে ফেলেছে। এই ম্যাচের আগে সবার চোখ ছিল নেইমার ও তার জাতীয় দল সতীর্থ ফিলিপে কৌতিনহোর দিকে। নেইমার প্রতিনিধিত্ব করছিলেন সান্তোসের, কৌতিনহো ভাস্কো দা গামার। মাঠের লড়াইয়ে কৌতিনহোর দলের সামনে নেইমাররা যে দাঁড়াতেই পারেননি, সেটি স্কোরলাইনই বলে দিচ্ছে। এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও এই ম্যাচে জয় হয়েছে কৌতিনহোই।
ভাস্কো দা গামার ৬ গোলের দুটি করেছেন সাবেক লিভারপুল ও বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। গোল দুটি হয় ম্যাচের ৫৪ ও ৬২ মিনিটে। দুর্দান্ত এই জয়ে অবনমন অঞ্চল থেকেও বেরিয়ে এসেছে ভাস্কো দা গামা। ১৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বর অবস্থানে আছে তারা। অন্যদিকে এক ম্যাচ বেশি খেলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে সান্তোস আছে ১৫ নম্বরে।
ম্যাচ শেষে হতাশা লুকাননি নেইমার। তিনি বলেছেন, ‘আমি লজ্জিত। আমাদের পারফরম্যান্সে আমি সম্পূর্ণ হতাশ। সমর্থকদের প্রতিবাদের পুরোপুরি অধিকার আছে, অবশ্যই সহিংসতা পরিহার করে। তারা যদি গালি দেয় বা অপমান করে, সেটারও অধিকার তাদের আছে।’
নেইমার আরও বলেছেন, ‘এটা চরম লজ্জার অনুভূতি। জীবনে কখনো এমনটা হয়নি। দুর্ভাগ্যবশত এবার হলো। কান্না এসেছিল রাগ থেকে, যা ঘটেছে সবকিছুর জন্য। দুর্ভাগ্যবশত আমি সবদিক দিয়ে সাহায্য করতে পারি না। যা-ই হোক, পুরো ব্যাপারটাই ছিল একেবারে বাজে, এটাই বাস্তবতা।’
সান্তোসের এত বড় হারের কিছুক্ষণ পরই প্রধান কোচ ক্লেবার হাভিয়েরকে বরখাস্ত করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য শুভকামনা জানিয়ে হাভিয়েরকে ছাঁটাইয়ের কথা নিশ্চিত করেছে সান্তোস।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: