সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


মেসির গোলে আর্জেন্টিনার শুভ সূচনা


প্রকাশিত:
৯ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৪১

আপডেট:
৯ অক্টোবর ২০২০ ১৬:৩২

ফাইল ছবি

দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর মাঠে নামায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝেই দেখা গেল বোঝাপড়ার ঘাটতি। যার প্রভাব পড়ল খেলায়। চোখজুড়ানো ফুটবল খেলতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত জয়ের দেখা ঠিকই পেল। লিওনেল মেসির গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু হলো লিওনেল স্কালোনির দলের।

বুয়েন্স আইরেসে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা।

কোপা আমেরিকার গত আসরে আয়োজকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মেসি। পূর্ব নির্ধারিত সময়ে (গত মে মাসে) এই ম্যাচ হলে খেলতে পারতেন না বার্সেলোনা তারকা। করোনাভাইরাসের কারণে দেরিতে শুরু হওয়ায় সুযোগ পেলেন খেলার এবং মাঠে নেমে তিনিই গড়ে দিলেন ব্যবধান।

এই জয়ে ইকুয়েডরের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে আধিপত্য আরও বাড়াল আর্জেন্টিনা। ৩৬ বারের দেখায় তাদের জয় ২১টি, ড্র ১০টি।

ম্যাচের একমাত্র গোলটি এসেছে শুরুর দিকেই। একদম শুরু থেকেই বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। সাফল্য মেলে ত্রয়োদশ মিনিটে। ডি-বক্সে সেভিয়া মিডফিল্ডার লুকাস ওকাম্পোসকে ডিফেন্ডার পের্ভিস এস্তুপেনার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। জোরালো স্পট কিকে বল জালে পাঠান মেসি।

এগিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে আর্জেন্টিনা। সেই সুযোগে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে ইকুয়েডর, যদিও পুরো ম্যাচেই স্বাগতিক গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানিকে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা। তাদের কোনো শটই লক্ষ্যে ছিল না।

প্রথমার্ধে আর কোনো উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আর্জেন্টিনাও। ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে গেলেও তাদের সব প্রচেষ্টা ভেস্তে যাচ্ছিল ডি-বক্সের বাইরেই। প্রতিপক্ষের সঙ্গে মেসি-মার্তিনেসদের শারীরিক শক্তিতে পেরে না ওঠা এর অন্যতম কারণ।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ওকাম্পোস। লাউতারো মার্তিনেসের হেডে ফাঁকায় বল পেয়ে তার নেওয়া শট পা বাড়িয়ে ব্যর্থ করে দেন ইকুয়েডর গোলরক্ষক।

শেষ ১০ মিনিটে খেলা অনেকটাই হয়ে ওঠে মাঝমাঠ কেন্দ্রিক। চার মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে মেসির পাস পেয়ে দূরপাল্লার শটে চেষ্টা চালান রদ্রিগে দে পল। অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান আর বাড়েনি।

গত কয়েক বছরে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্সে ছিল ওঠানামা। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে না পারার শঙ্কাও জেগেছিল তাদের; শেষ পর্যন্ত বাছাইয়ের শেষ রাউন্ডে মেসির হ্যাটট্রিকে এই ইকুয়েডরকে হারিয়েই পেয়েছিল বিশ্বকাপের টিকেট। কিন্তু মূল পর্বে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়ে বিদায় নিয়েছিল শেষ ষোলো থেকে। পরে গত বছর কোপা আমেরিকায়ও সঙ্গী হয় হতাশা।

লম্বা সময় ধরে নিজেদের খুঁজে ফেরা দলটি এরপর স্কালোনির কোচিংয়ে স্বরূপে ফেরার আভাস দেয়। জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানেই শুধু নয়, শেষ কয়েক ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স, হার না মানা মানসিকতা, কোণঠানা অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া ভাব নজর কাড়ে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে মাঝের লম্বা বিরতির পর আবারও মাঠে নেমে তাদের ফুটবলে সেই ছন্দ চোখে পড়েনি ঠিকই; তবে অপরাজেয় পথচলা ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। এই নিয়ে শেষ আট ম্যাচে অপরাজিত রইল দলটি, জয় পাঁচটি।

আগামী মঙ্গলবার পরের ম্যাচে বলিভিয়ার মাঠে খেলবে সবশেষ ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাওয়া আর্জেন্টিনা।

বাছাইপর্বের আরেক ম্যাচে শুভ সূচনা করেছে উরুগুয়ে। ঘরের মাঠে লুইস সুয়ারেস ও মাক্সি গোমেসের গোলে চিলিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে দুবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা। চিলির গোলটি করেন আলেক্সিস সানচেস।

দিনের অন্য ম্যাচে প্যারাগুয়ে নিজেদের মাঠে পেরুর সঙ্গে ২-২ ড্র করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top