সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১

Rupali Bank


লাল কার্ড দেখার যুক্তি দেখালেন নেইমার


প্রকাশিত:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:০০

আপডেট:
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:০১

ক্ষেপে গিয়ে আলভারোর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন নেইমার। ছবি: রয়টার্স

দলকে উদ্ধার করতে দ্রুত মাঠে নেমে গিয়েছিলেন নেইমার। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেই দলের অনুশীলনে নেমেছেন। কাল তো একেবারে মূল একাদশেই নেমে গেলেন। মার্শেইয়ের বিপক্ষে মর্যাদার লড়াই বলে কথা। প্রথম ম্যাচে প্রায় দ্বিতীয় দল নিয়ে নেমে লাঁসের বিপক্ষে হেরে বসেছিল পিএসজি। দলকে পথে ফেরাতে তাই দ্রুতই মাঠে নেমে পড়া নেইমার ও আনহেল ডি মারিয়াদের। কিন্তু ঘরের মাঠে পিএসজি শুধু ১-০ ব্যবধানে হারেইনি, উল্টো নেইমারসহ দুই দলের পাঁচজন দেখেছেন লাল কার্ড!

লাল কার্ডের এমন বন্যা ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে। একটি বিতর্কিত ঘটনায় দুই দলের খেলোয়াড়েরা বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু স্নায়ুর ওপর চাপটা ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল। ম্যাচের ৭ মিনিটেই হলুদ কার্ড দেখেন মার্শেইয়ের সাকাই। ১১ মিনিটেই সে খাতায় নাম ওঠে নেইমারের। মার্শেইয়ের মূল তারকা ও পিএসজি-বিদ্বেষী দিমিত্রি পায়েতও একই সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখেছেন। এভাবে নির্ধারিত সময়ে একে একে ১২ বার হলুদ কার্ড বের করতে হয়েছে রেফারিকে। এই ডামাডোলের মধ্যেই দিমিত্রি পায়েতের পাস থেকে ৩১ মিনিটে মার্শেইকে গুরুত্বপূর্ণ গোল এনে দেন ফ্লোরিয়ান থভিন।

ম্যাচের বাকি এক ঘণ্টাতেও সে গোল আর শোধ দেওয়া হয়নি নেইমারদের। ফলে থভিনের গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক হয়ে ওঠে।

লিগের প্রথম দুই ম্যাচেই হারল পিএসজি, সংবাদমাধ্যমে ঝড় তোলার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু নেইমাররা আরও বড় এক ঝড় তুললেন। দুই আর্জেন্টাইন দারিও বেনেদেত্তো ও পিএসজির লিয়েন্দ্রো পারেদেসের মধ্যকার ঝামেলা পুরো দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। নেইমার এ তুলকালামের মধ্যমণি ছিলেন। একপর্যায়ে আলভারো গঞ্জালেজের মাথার পেছনে মারেন নেইমার। লেভিন কুরজায়া ও মার্শেইয়ের জর্ডান আমাভিও বেশ শৌর্যবীর্য দেখিয়েছেন মারামারির একপর্যায়ে। ফলে বেনেদেত্তো, পারেদেস, কুরজায়া, আমাভিকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। এই দুই জোড়ার সঙ্গে নেইমারের নামটাও যোগ করে নেন রেফারি।

গঞ্জালেজের মাথার পেছনে আঘাত করায় শাস্তি মিললেও নেইমারের দাবি, বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। আর এ কারণেই এতটা খেপে গিয়েছিলেন নেইমার। টুইট করে সেটা জানিয়েও দিয়েছেন, ‘আমার একটাই দুঃখ, এই বদমাশকে চর মারলাম না কেন।’ এরপরই সব ক্ষোভ ঢেলে দিয়েছেন আরেক টুইটারে, ‘ভিএআর আমার আগ্রাসী আচরণ খুব সহজেই খুঁজে পেল... ওই বর্ণবিদ্বেষী যে আমাকে (বাঁদর) বলে গালি দিল এখন আমি সে ছবিও দেখতে চাই... আমি এখন সেটা দেখতে চাই। কী হলো? আমাকে ঠিকই শাস্তি দেওয়া হলো। আমাকে বের করে দেওয়া হলো...ওদের শাস্তি হবে না? কী ব্যাপার?’

নেইমারের জাতিবিদ্বেষী অভিযোগ মানতে পারেননি মার্শেইয়ের কোচ আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াস। তাঁর দাবি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এমন ভুল করতে পারেন না, ‘আমার মনে হয় না (এমন কিছু ঘটেছে), কারণ আলভারো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। ফুটবলে জাতিবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই কিন্তু আমার মনে হয় না এটা ঘটেছে। নেইমার ম্যাচের শেষের ওই ঘটনায় একটু বিরক্ত বলে এমন বলছে। আমি আশা করব সবার মনোযোগ এ জয় থেকে সরে যাবে না। আমরা তো ডি মারিয়াকেও দেখলাম আমাদের এক খেলোয়াড়ের গায়ে থুতু মারতে। এটা ক্লাসিকো ছিল এবং আমাদের উচিত অলিম্পিক মার্শেইয়ের এই ঐতিহাসিক জয় মনে রাখা।’


সম্পর্কিত বিষয়:

করোনাভাইরাস নেইমার

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top