শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


স্বপ্নের সুপার ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন মেসি


প্রকাশিত:
২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:১৭

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১২:৫৯

ফাইল ছবি

ফুটবল ক্যারিয়ারে অর্জনের ঝুলিটা পুরষ্কার ও ট্রফিতে পরিপূর্ণ লিওনেল মেসির। সঙ্গে ভক্তদের ভালোবাসা তো আছেই। গত রোববার আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর শিরোপা জিতিয়েছেন তিনি। তাই এবার সে ঝুলিতে যুক্ত হতে পারে একটি বিশেষ অর্জন। ফুটবল ক্যারিয়ারে বিশেষ অর্জনের পুরষ্কার সুপার ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা।

ইতিহাস গড়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতালেন লিওনেল মেসি। প্রাপ্তির খাতায় যোগ করলেন ক্যারিয়ারের একমাত্র অপ্রাপ্তিও। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জেতানোয় নাম লিখিয়েছেন সর্বকালের সেরাদের তালিকায়। টুর্নামেন্ট শেষে জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল পুরষ্কার। এবার নেটিজেনদের দাবি, সুপার ব্যালন ডি’অরও পাওয়া উচিত আর্জেন্টাইন অধিনায়কের।

ফুটবলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সুপার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মাত্র একজনই। ১৯৮৯ সালে এই সম্মান পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানো।

রিয়ালের হয়ে ডি স্টেফানো গোল করেছেন ৩০৮টি এবং ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে টানা পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৫৭ এবং ১৯৫৯ সালে দুবার ব্যালন ডি’অর জেতেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। ফুটবলে তার অনন্য অবদানের জন্য ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের ৩০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে সুপার ব্যালন ডি’অর পুরষ্কার দেওয়া হয় তাকে।

ডি স্টেফানোর ওই সুপার ব্যালন ডি’অর জয়ই ইতিহাসের একমাত্র সুপার ব্যালন ডি’অর। এরপর আর এই পুরষ্কার ওঠেনি কারও হাতেই। এবার মেসিকে নিয়ে শুরু হয়েছে সেই গুঞ্জন। কারণ অর্জনটা তো তারও কম নয়। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী গ্রহের একমাত্র খেলোয়াড়ের ঝুড়িতে আছে দুইবার ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও তিনবার ইউরোপ সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি। এছাড়া স্বপ্নের বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি দুইবার বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। চারবার দলকে জিতিয়েছেন ইউরোপ সেরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। একবার জিতেছেন কোপা আমেরিকাও। এমন তারকার তো একটা বিশেষ পুরষ্কার এমনিতেই প্রাপ্য।

তবে সমস্যা একটাই, সুপার ব্যালন ডি’অরের রীতি চালু করার সময় জানানো হয় শুধু ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকেই দেওয়া হবে এই পুরষ্কার। ডি স্টেফানো আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করলেও কলম্বিয়া এবং স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করে এই ট্রফি জয়ের জন্য যোগ্য হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু মেসির বেলায় তো ব্যাপারটা ভিন্ন। তাই শুধুমাত্র এই কারণে মেসি পুরষ্কারটি জেতার অযোগ্য হন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

১৯৯৫ সালে ইউরোপের বাইরের দেশের তারকাদের স্বীকৃতি দিতে একটি ‘গোল্ডেন ব্যালন ডি’ওর’ পুরষ্কার চালু করা হয়। আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি অধিনায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনার হাতে প্রথমবার এ পুরষ্কার ওঠে।


সম্পর্কিত বিষয়:

ব্যালন ডি’অর

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top