যে ৫ কারণে জিলহজের প্রথম দশক গুরুত্বপূর্ণ
প্রকাশিত:
২৮ মে ২০২৫ ১৬:৫৫
আপডেট:
৩০ মে ২০২৫ ০১:৩৩

হিজরি বর্ষপঞ্জির শেষ মাস জিলহজের ফজিলত সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা। এই দিনগুলোতে আলেমরা বেশি বেশি নেক আমল করার প্রতি উৎসাহিত করেন। অনেকের আগ্রহ জাগে, জিলহজের প্রথম দশকের ইবাদতের প্রতি এতো উৎসাহ দেওয়া হয় কেন? এই দিনগুলো তো রমজানের অংশ নয়।
কিন্তু আলেমদের মতে জিলহজের প্রথম দশক রমজানের দিনের মতোই উত্তম। আলেমদের অনেকেই জিলহজের প্রথম দশ দিন এবং রমজানের শেষ দশকের রাতে মধ্যে তুলনা করতেন। কোরআন-হাদিসের আলোকে এই সময়টির ফজিলত নির্ধারণ এবং উপস্থাপন করতেন। অনেক আলেমের মতে, রমজানের রাতের মতো জিলহজের প্রথম দশকের দিনগুলোও ফজিলতপূর্ণ। জিলহজের প্রথম দশক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হলো:
১. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দিনসমূহ
বিভিন্ন হাদিসে জিলহজের প্রথম দশককে পৃথিবীর সর্বোত্তম দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর দিনগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জিলহজের এই দশ দিন। (আল-আলবানি সহীহ বলেছেন)
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় দিনগুলো হলো জিলহজের এই দশ দিন। (আল-আলবানি সহীহ বলেছেন)
২. নেক আমলের শ্রেষ্ঠ সময়
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, এমন কোনো দিবস নেই যার আমল জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় হবে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদ করা থেকেও কি অধিক প্রিয়? রাসূলুল্লাহ (সা.)বললেন, হাঁ জিহাদ করা থেকেও অধিক প্রিয় তবে যদি এমন হয় যে ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হল এবং এর কোনো কিছুই ফেরত নিয়ে এল না। (তিরমিজি)
সূরা ফজরের ২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, শপথ দশ রাতের’। বিখ্যাত সাহাবীগণ যেমন ইবনে আব্বাস ও ইবনে যুবাইর (রা.) বলেন, এখানে দশ রাত বলতে জিলহজের প্রথম দশ দিন বোঝানো হয়েছে।
৪.শ্রেষ্ঠতম দিন
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে কুরত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, কোরবানির দিন (১০ জিলহজ) আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন।’ (আবু দাউদ)
৫.আরাফার দিনের বরকত
আরাফার দিন হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুকন। এ দিন আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন হাজিরা, এখানে হজের খুতবা শোনেন। আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন। মনে আকুতি ঢেলে দোয়া করেন। গুনাহ থেকে ক্ষমার জন্য তওবা করেন।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, আরাফার দিনে আল্লাহ যত মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন, তা অন্য কোনো দিনে করেন না। (মুসলিম)
হজ করতে যাননি এমন মানুষদের জন্য আরাফার দিনে রোজা রাখা অনেক ফজিলতপূর্ণ। এই রোজা আগের বছরের ও পরবর্তী বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: