পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ভয়াবহ বন্যা, এক দিনে ৬৩ জনের প্রাণহানি
প্রকাশিত:
১৭ জুলাই ২০২৫ ১৬:২৪
আপডেট:
১৭ জুলাই ২০২৫ ২২:৩১

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় গত ২৪ ঘন্টায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি এবং প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
পাঞ্জাব ওয়াসার মহাপরিচালক (ডিজি) তৈয়ব ফরিদ বলেন, ‘রাওয়ালপিন্ডি, চাকওয়াল এবং আশেপাশের এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদী উপচে পড়েছে, যার ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় প্রদেশজুড়ে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে ৬৩ জন মারা গেছেন এবং ২৯০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে লাহোরে কমপক্ষে ১৫ জন, ফয়সালাবাদে নয়জন, সাহিওয়ালে পাঁচজন, পাকপত্তনে তিনজন এবং ওকারায় নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের পরিবার সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাবে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ এক এক্স বার্তায় বলেছেন, ‘অস্বাভাবিক মুষলধারে বৃষ্টিপাত এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সাইরেন এবং ঘোষণার মাধ্যমে জনসাধারণকে সতর্ক রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি সাধারণ নাগরিকদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা এবং নিরাপত্তামূলক সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান।
পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) দেশজুড়ে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া-বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে, বিদ্যুতের লাইন এবং খোলা ম্যানহোল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রেসকিউ পাঞ্জাবের মুখপাত্র ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ধোক বাদর, ধোক শাহ আরিফ, সোহাওয়া, রসুলপুর, চক মুহাম্মদ এবং ভাম্পার গ্রামে বন্যার পানিতে আটকে পড়া নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্ধার অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, বর্তমানে ৫০ টিরও বেশি উদ্ধারকারী নৌকা উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি সেনা বাহিনীও বর্তমানে নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিযতে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে প্রায় প্রতিবছরই মারাত্মক বন্যা, ভূমিধসের ঘটনা ঘটে, বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ২০২২ সালের ভয়াবহ দেশটির এক তৃতীয়াংশ প্লাবিত হয়েছিল। এতে ১ হাজার ৭৩৭ জনের মৃত্যু এবং অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সূত্র: ডন
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: