মনোযোগ ছাড়া নামাজ পড়লে আল্লাহ কবুল করবেন?
প্রকাশিত:
২১ জুলাই ২০২৫ ১১:৩৪
আপডেট:
২২ জুলাই ২০২৫ ০৫:২৫

আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন হয় এমন ইবাদতগুলোর অন্যতম নামাজ। নামাজ শুরু করার পর দুনিয়ার সব ব্যস্ততা ছেড়ে বান্দা নিজেকে রবের সামনে সপে দেয়। রব ছাড়া অন্য সব কিছু ভুলে যায়।
নামাজকে চোখের শীতলতা বলে উল্লেখ করেছেন মহানবী (সা.)। আনাস (রা.) বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সুগন্ধি ও নারীকে আমার কাছে অতি প্রিয় করে দেয়া হয়েছে। আর আমার চোখের শীতলতা রাখা হয়েছে সালাতের মধ্যে। (আহমাদ ও নাসায়ী)
নামাজের সময় একজন মানুষের মনে এই ভাবনা থাকতে হবে যে সে আল্লাহকে দেখছে অথবা আল্লাহ তাকে দেখছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করো, যেন তাকে তুমি দেখতে পাচ্ছো। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখতে পাচ্ছেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০; মুসলিম, হাদিস : ৮)
নামাজে দাঁড়িয়ে শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং পারিপাশ্বির্ক বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হয় না।
কেউ মনোযোগ ছাড়া অন্যমনস্ক ও গাফেল হয়ে নামাজ আদায় করলে তা নিন্দনীয় বলে গণ্য হবে। তবে এমন নামাজ আদায়কারী একেবারে নামাজ পরিত্যাগকারীর পর্যায়ভুক্ত হবে না।
কারণ, যে অবস্থাতেই হোক না কেন, তিনি অন্তত ফরজ আদায়ের পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং সামান্য সময়ের জন্য হলেও অন্তরকে যাবতীয় আকর্ষণ থেকে মুক্ত করে আল্লাহর প্রতি নিয়োজিত করেছেন।
মনোযোগ ছাড়া নামাজ আদায়কারী কমপক্ষে নিয়তের সময় হলেও আল্লাহ তায়ালার ধ্যানে নিমগ্ন ছিলেন। এ ধরনের নামাজে অন্তত এতটুকু উপকার অবশ্যই হবে যে, তাদের নাম অবাধ্য ও বেনামাজীদের তালিকা বহির্ভূত থাকবে।
কিন্তু তা নাহলে অন্যমনস্ক নামাজ আদায়কারীর অবস্থা পরিত্যাগকারীদের থেকেও করুণ ও নিকৃষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ, যে গোলাম প্রভুর খেদমতে উপস্থিত থেকেও তার প্রতি অমনোযোগী থাকে এবং তাচ্ছিল্যপূর্ণ ভঙ্গিতে কথাবার্তা বলে, তার অবস্থা যে গোলাম আদৌ খেদমতে হাজির হয় না, তার থেকে অধিক ভয়াবহ ও মারাত্মক।
মূলকথা, অমনোযোগী অবস্থায় নামাজ আদায় আশা ও নিরাশার ব্যাপার; এতে শাস্তির আশঙ্কাও রয়েছে, পুরস্কারের আশাও রয়েছে।
(তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন, ১ম খণ্ড, ২০৫)
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: