ভোরবেলা যে দোয়া পড়বেন
প্রকাশিত:
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৩:৫৫
আপডেট:
৫ আগস্ট ২০২৫ ০৭:৩৩

ভোররাতে বা দিনের শুরুতে সবচেয়ে বেশি কল্যাণ থাকে। শুধু ইবাদত-বন্দেগিই নয়, বরং পার্থিব কাজের জন্যও এটি সবচেয়ে উপযুক্ত ও বরকতময় সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ভোরবেলার কাজের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন।
সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন।’ এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, হজরত (রা.)-ও তাঁর ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬০৬)
প্রত্যেকের উচিত প্রতিদিন ভোরবেলা উঠে দিনের শুরুতেই আমল করা। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে মুসলিম ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ও মহান আল্লাহকে স্মরণ করে রাত কাটায় (ঘুমায়) এবং রাতে জেগে আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের দোয়া করে, আল্লাহ তাকে তা দান করেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৪২)
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো-
আরবি :
أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْحَمْدُ كُلُّهُ لِلَّهِ، لَا شَرِيكَ لَهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
বাংলা উচ্চারণ :
আসবাহনা ওয়া আসবাহাল হামদু কুল্লুহু লিল্লাহ, লা শারিকালাহু, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াইলাইহিননুশুর
অর্থ :
‘আমরা ভোরে উপনীত হয়েছি এবং আল্লাহর রাজত্ব (সৃষ্টিকুল) ভোরে উপনীত হয়েছে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, তার কোন শরীক নাই। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নাই এবং পুনরুত্থান তার কাছে। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, আহমাদ, ইবনে হিব্বান, আবু আওয়া নাসাঈ)
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: