ভোটকেন্দ্রে সেনা মোতায়েনসহ ৭ দফা প্রস্তাব ইসলামী আন্দোলনের
প্রকাশিত:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ১৭:২২
আপডেট:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ২০:১৫

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সেনা সদস্য মোতায়েনসহ নির্বাচন কমিশনের কাছে সাত প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব প্রস্তাবের কথা জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ। চার সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দেওয়া, সেনাবাহিনী প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন করা, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, ফ্যাসিস্টদের নির্বাচনের বাইরে রাখা এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য চায় ইসলামী আন্দোলন। এজন্য জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।
নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। স্থানীয় নির্বাচন আগে হওয়া প্রয়োজন। লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে কিনা তা বোঝা যাবে। লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কথা বলেছি, এটা এখনো অনুপস্থিত।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনেই প্রার্থী বাছাই ইসলামী আন্দোলনের, সাক্ষাৎকার সম্পন্ন
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে না পারলে বিগত কমিশনের মতো ফল ভোগ করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন না দিতে পারলে নির্বাচন না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি কমিশনকে। একতরফা যেন জাতীয় নির্বাচন না হয়।
যে সাতটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
১) বিগত ক্ষমতাসীন দলগুলো যেভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনকে দলীয় এবং ক্ষমতার অশুভ প্রভাব খাটিয়ে বিতর্কিত ও ব্যর্থ করেছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
২) সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনী কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল এবং দলনিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা দিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩) সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেশের গৌরব সেনাবাহিনীকে শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, বরং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সেনা সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে ও সংস্কারের ভিত্তিতে জাতীয় এবং সকল স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে।
৫) শতভাগ জনমতের মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি কার্যকর সংসদ গঠনের লক্ষ্যে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
৬) ফ্যাসিস্ট, খুনি, মানবতাবিরোধী অপরাধী ও আধিপত্যবাদী শক্তির এজেন্ট আওয়ামী লীগ ও তার সকল দোসর ও সহযোগী দলকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা এবং তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
৭) দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, টেন্ডারবাজ ও খুনিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: