মঙ্গলবার, ২৮শে অক্টোবর ২০২৫, ১৩ই কার্তিক ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


গোলটেবিল বৈঠকে শিশির মনির

প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারবেন না, বিরাট পরিবর্তন


প্রকাশিত:
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ২০:০০

আপডেট:
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:১৪

ছবি : সংগৃহীত

অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেছেন, বড় ধরনের পরিবর্তন এসে যাচ্ছে শাসনতন্ত্রে। তার মধ্যে একেবারে মূল নীতি থেকে শুরু করে কয়েকটি চমকপ্রদ পরিবর্তন আসছে। যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি একইসঙ্গে দলীয় প্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। এই পরিবর্তনটা বিরাট ব্যাপার।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) প্রেস ক্লাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন রূপরেখা— শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগে আমরা দেখেছি, এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী তিনি আবার দলেরও প্রধান। কিন্তু এখন যিনি দলের প্রধান হবেন, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। ১০ বছরের বেশি কেউ ওই পাওয়ার স্ট্রাকচারের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। বিরাট পরিবর্তন। একবার চিন্তা করেন। যতই অসুবিধাজনক শাসন আসুক না কেন, যত কঠিন শাসকেরই জন্ম হোক না কেন, ১০ বছরের বেশি নয়। ১০ বছর পরে তিনি ইনভ্যালিড হয়ে যাবেন।


তিনি বলেন, একটা সংগ্রাম, একটা আত্মত্যাগ এটা স্ট্রাকচারে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। স্ট্রাকচারাল ডিজাইন চেঞ্জ হচ্ছে রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে। যারা জীবন দিয়েছে, যারা তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিলিয়ে দিয়েছে, যারা বেঁচে আছে, তারা দেখতে পাবে যে তাদের এই সংগ্রামটা সাংবিধানিকতার ভেতরে ঢুকে একটা নতুন কাঠামোগত পরিবর্তন আনছে।

তিনি আরও বলেন, এইবার যারা প্রথম ভোট দেবে, তারা একজন শাসককে ১৫ বছর ধরে দেখেছে। কিন্তু এখন যে পরিবর্তনের সূচনা করা হচ্ছে, সেখানে ১০ বছর পরে অটো ওই ব্যক্তি (প্রধানমন্ত্রী) কনস্টিটিউশনালি ইনভ্যালিড হয়ে যাবেন। কনস্টিটিউশনালি বিরাট স্ট্রাকচারাল ডিজাইন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। পার্লামেন্ট দুই কক্ষের হয়ে যাবে। একটা হবে উচ্চকক্ষ, একটা হবে নিম্নকক্ষ।

শিশির মনির বলেন, উচ্চকক্ষ গঠিত হবে নিম্নকক্ষের নির্বাচনে যে পারসেন্টেজ (শতাংশ) হবে, সেই পারসেন্টেজ অনুযায়ী। কোনো দল যদি ৫ শতাংশ ভোট পায়, ৫ শতাংশের বিনিময়ে তিনি ১০০ আসনের মধ্যে পাঁচজন পাবেন। কোনো দল যদি ২০ শতাংশ পায়, ১০০ আসনের বিপরীতে ২০টি আসন পাবেন। তাহলে দেখবেন উচ্চকক্ষে কোনো দলের পক্ষেই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, নিম্নকক্ষের নাম হবে সংসদ। উচ্চকক্ষের নাম হবে সিনেট। উচ্চকক্ষের একজন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার আছেন। নিম্নকক্ষের আরেকজন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার আছেন। উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে হবেন। নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পিকারও বিরোধী দল থেকে হবেন।

সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ৭০-এর ব্যাপারে বলা হচ্ছে— দুটি বিষয় ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে নিজস্ব পার্টির বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবে। স্বাধীনতা পাচ্ছেন সংসদ সদস্যরা। একটি হলো অর্থবিল, আরেকটা হলো নো কনফিডেন্স (অনাস্থা)— এই দুটি ছাড়া বাকি সব জায়গায় দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর পার্টির মেম্বার অব পার্লামেন্ট থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আলোচনাও করতে পারবে, ভোটও দিতে পারবে, অ্যাগ্রিও (একমত) করতে পারবে, ডিসএগ্রিও (দ্বিমত) করতে পারবে।

গণভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণভোট আগে হোক, আগে হওয়া উচিত এবং এখনো যতটুকু সময় আছে যে একটি ভোটের সঙ্গে আরেকটি ভোটকে মেলালে এটা তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলতে পারে। এখনো নভেম্বরে রেফারেন্ডাম (গণভোট) অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শিডিউল ডিক্লেয়ার করার কথা বলা হয়েছে, সেটাও হতে পারে। আবার ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেটাও হতে পারে। কিন্তু অতীতের যেসব গণভোট হয়েছে, সেগুলোর দিন ডিক্লেয়ার করা থাকে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এ রকম একটি গণভোটের আয়োজন হতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top