সোমবার, ২৭শে অক্টোবর ২০২৫, ১২ই কার্তিক ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


মাইলস্টোন ট্রাজেডি

৯৭ দিন হাসপাতালের ২২ দিন আইসিইউয়ে, ৩৬ বার অপারেশন


প্রকাশিত:
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:১৫

আপডেট:
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৫৮

ফাইল ছবি

রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৯৭ দিন চিকিৎসা নিয়ে অবশেষে বাড়ি ফিরল মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের দগ্ধ শিক্ষার্থী নাভিদ নেওয়াজ (১২)। সে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ইংলিশ ভার্সনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এই ৯৭ দিনে তার ৩৬ বার অপারেশন হয়েছে।

আজ (সোমবার) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন।

তিনি জানান, ২১ জুলাই একটি মর্মান্তিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাভিদ নেওয়াজ দগ্ধ হয়। এরপর শুরুতে তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে, সেখান থেকে পরদিন ৪৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার পর ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা শুরু করি। ৩৬ বার আমরা তার অপারেশন করি। এর মধ্যে সে আইসিইউতে ছিল ২২ দিন, এইচডিইউতে ছিল ৩৫ দিন এবং আইসোলেটেড কেবিনে ছিল ৪০ দিন। তার চিকিৎসা আমাদের কাছে অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল।

এই চিকিৎসক আরও বলেন, আপনারা জানেন ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে যদি ফুসফুস কাজ করে না, তখন তার ফুসফুস পানিতে ভরে যায়। এরপর আমরা তাকে আইসইউতে উপুড় করে শুইয়ে তার চিকিৎসা করেছি। একটা রোগীকে তার মুখে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক পরানো থাকে তাকে উপুড় করে শুইয়ে চিকিৎসা করা, খুবই কঠিন কাজ ছিল আমাদের জন্য। এর মধ্যে অনেককেই আমরা বাঁচাতে পারিনি। কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল। বর্তমানে আরও পাঁচজন আমাদের এখানে ভর্তি আছে। হয়তো আগামী সপ্তাহের মধ্যে সকলকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিতে পারব।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে একটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার ফলে মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় এবং ভবনটির একটি অংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিমানের পাইলটসহ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ৩১ থেকে ৩৬ জন নিহত হন (যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু শিক্ষার্থী) এবং আহত হন বহু।

সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন, যাতে প্রাণহানি কম হয়।

ওই ঘটনায় সরকার একদিনের জাতীয় শোকও ঘোষণা করে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top