ওষুধ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
প্রকাশিত:
২৪ মে ২০২৫ ১৭:১৩
আপডেট:
২৪ মে ২০২৫ ২১:৩৯

বর্তমানে অসংখ্য মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর জন্য উচ্চ রক্তচাপকে দায়ী করা হয়। আসলে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেশন নীরব ঘাতক। ধীরে ধীরে এটি বিভিন্ন অঙ্গের ওপর প্রভাব ফেলে। যার জেরে বাড়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই সুস্থ থাকতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে রোজ ওষুধ খেতেই হবে। পাশাপাশি হাঁটতে হবে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটলে প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও নজর নিতে হবে ডায়েটে।
হার্ভার্ড এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিপ্রাপ্ত গ্যাস্ট্রোএনট্রোলজিস্ট সৌরভ শেঠি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কয়েকটি খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যা প্রেশারের রোগীদের জন্য উপকারী। এসব খাবার নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা সুস্থ জীবন কাটাতে পারবেন। কী কী সেই খাবার? চলুন জেনে নিই-
১. কলা:
কলায় আছে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডা. শেঠির মতে, কলায় থাকা এই পটাশিয়াম শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়ামকে বাইরে বের করে দেয়। এতে প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। রোজকার পাতে রাখুন কলার স্মুদি বা স্ন্যাকস।
২. ডার্ক চকলেট
ডা. শেঠির মতে, ডার্ক চকলেট খাওয়ার মাধ্যমে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডার্ক চকলেটে আছে ম্যাগনেশিয়াম ও ফ্ল্যাভনল, যা রক্তনালিকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। ৭০ শতাংশ কোকো সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট হাইপারটেনশনের রোগীদের জন্য উপযোগী।
৩. বিটরুট
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে খাদ্যতালিকায় রাখুন বিটরুট। এই সবজি খেলে উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। বিটে থাকে নাইট্রেট, যা দেহে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তর হয়। এটি রক্তনালিকে প্রসারিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। বিটরুটের জুস বা সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন।
৪. বেদানা
বেদানায় পলিফেনল নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যের জন্যও উপযোগী বেদানা। নিয়মিত এই ফল খেলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে।
৫. আদা
বাঙালির রান্নায় নিয়মিত ব্যবহার হয় আদা। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি রক্তচাপ কমায় এবং কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। চা, স্মুদিতে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পেটের গণ্ডগোল থেকেও মুক্তি মিলবে।
তবে কেবল খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলেই যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমনটা নয়। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: