পাচারের সময় আটক
গৌতম বুদ্ধের মূর্তিটি পরীক্ষায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ
প্রকাশিত:
১১ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৩
আপডেট:
১১ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৬

রাজধানীর শ্যামপুর থানা এলাকা থেকে ২০ বছর আগে পাচারের সময় আটক স্বেত পাথরের গৌতম বুদ্ধের মূর্তিটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কি না, তা নির্ধারণে পরীক্ষার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
ছয় কেজি ওজন ও ১৩ সেন্টিমিটার উচ্চতার মূর্তিটি পরীক্ষার নির্দেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী।
ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন চৌধুরি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, মামলার আলামত স্বেত পাথরের গৌতম বুদ্ধের মূর্তি প্রত্নতত্ত্ব কিনা বা প্রত্নতত্ত্ব নয় কিনা তা নিরুপণে পরীক্ষার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হোক। আবশ্যকীয় হলে পরীক্ষার জন্য গৌতম বুদ্ধের মূর্তিটি যথা সম্ভব অক্ষত রেখে একান্ত প্রয়োজনে সামান্য একটু অংশ ভাঙ্গা যেতে পারে। ডিসি প্রসিকিউশন ও মালখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলার আলামত স্বেত পাথরের বুদ্ধের মূর্তির সাক্ষী হাসিবুল হাসান সুমির মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে নিরাপদে প্রেরণের ব্যবস্থা নিতে বলা হলো। পরীক্ষা শেষে উক্ত আলামত নিরাপত্তার সাথে আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হলো আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রতিবেদনের জন্য ও উক্ত সাক্ষীর পুনরায় জবানবন্দি ও জেরার জন্য।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৭ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে,একদল মুর্তি পাচারকারী রাজধানীর শ্যামপুর থানার মীর হাজারিবাগ এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন। তারা তাদের এজেন্ট দ্বারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অবস্থিত মন্দির/প্যাগোডা থেকে বুদ্ধ মূর্তিসহ বিভিন্ন মূল্যবান প্রত্নতত্ত্ব চুরি করে বিদেশে পাচার করে। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ অভিযানে গৌতম বুদ্ধের মূর্তিসহ আসামি শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় পরের দিন শ্যামপুর থানার এসআই বদিউজ্জামান একটি মামলা করেন। আলামত হিসাবে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: