আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়াল
প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১০
আপডেট:
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৪৯
আফগানিস্তানে পূর্বাঞ্চলীয় কুনার প্রদেশের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮০০ জন ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তালেবান কর্তৃপক্ষ।
কুনার প্রদেশের স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মুখপাত্র রহিমুল্লাহ হামজালা সরকারি বাখতার নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, প্রদেশের মাজার দারাহ এলাকায় ১ হাজার ৮২৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও ৩ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন এবং জীবিতদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
তালেবান সরকার আশঙ্কা করছে, নাঙ্গারহার, লাঘমান এবং পাঞ্জশির প্রদেশ থেকে হতাহতের বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। নাঙ্গারহারে ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে জাতিসংঘসহ মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে, হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জরুরিভাবে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। যদিও প্রতিবেশী পাকিস্তান, ইরান, চীন, তুরস্ক এবং ভারত ইতোমধ্যে সহায়তা পাছিয়েছে, পাশাপাশি পশ্চিমা দেশগুলোও সাহায্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, যখন বেশিরভাগ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল)। এরপর আরও অন্তত তিনটি পরাঘাত হয়েছে, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও এসব কম্পন অনুভূত হয়েছে।
২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে আফগানিস্তানে আঘাত হানা এটি তৃতীয় বড় ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত পাহাড়ি কুনার প্রদেশে। দুর্গম এবং পাহাড়ি এলাকাটিতে উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা।
সূত্র: আনাদোলু
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: