মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রুশ ভুখণ্ডে হামলায় ইউক্রেনকে নিষেধাজ্ঞা পেন্টাগনের
প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৮:০৯
আপডেট:
২৫ আগস্ট ২০২৫ ০০:৪৮
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানো থেকে ইউক্রেনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ইউক্রেন এই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে শুধুমাত্র নিজেদের ভূখণ্ডের ভেতরে রুশ লক্ষ্যবস্তুতে।
প্রতিরক্ষা কর্মকতাদের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সাম্প্রতিত মাসগুলোতে বেশ কয়েক বার রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলার জন্য আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং সামরিক কমান্ড সেসব অনুরোধ প্রত্যাখান করেছেন। সাধারণ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে থাকেন।
গত বছর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছিল। তবে ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই মার্কিন সামরিক কমান্ডের অনুমতি নিতে হতো।
ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুটি কারণে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানোর অনুমতি দিচ্ছে না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেৃতত্বাধীন প্রশাসন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিকে হোয়াইট হাউস পুতিনকে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে, অন্যদিকে পেন্টাগন ইউক্রেনকে একটি বিশেষ অনুমোদনপ্রক্রিয়ার আওতায় রেখেছে। এই অবস্থায় যদি ইউক্রেন রুশ ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে হামলা শুরু করে, তাহলে যুদ্ধাবসানের যাবতীয় প্রচেষ্টা ভেস্তে যাবে।
মূলত, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ ও শান্তিচুক্তি করতে গত ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের তিন দিন পর ১৮ আগস্ট হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়েনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। তবে কোনো বৈঠকেই দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়নি।
অন্যদিকে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের আশা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে সেটিও কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসএন/রুপা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: