হুঁশিয়ারি ইরানের
যুদ্ধ ১২ দিনের বদলে ১৫ দিন চললে ইসরাইলকে চরম ভুগতে হতো
প্রকাশিত:
২৩ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৪৮
আপডেট:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ০০:৩২

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, দেশটির কাছে এমন এক সামরিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে যা এখনো ব্যবহার করা হয়নি।
তিনি শত্রুদের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেন, ‘ভুল হিসাব কষবেন না, কিংবা এমন কোনো নির্বুদ্ধিতার কাজ করবেন না যার জবাব দিতে হবে ইরানকে।’
শনিবার ২৩ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মেহর নিউজ।
শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, জুন মাসে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত যুদ্ধে ইরানের উন্নত সরঞ্জাম, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়নি।
তিনি বলেন, গত এক বছরে ইরান নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, যেগুলো চালনাযোগ্য ওয়ারহেডে সজ্জিত। এই ওয়ারহেডগুলো আকাশে প্রবেশের পর গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে এবং নির্দিষ্ট কক্ষপথ অনুসরণ করতে হয় না। ফলে এগুলো বহুতল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যেমন মার্কিন তৈরি টিএইচএএড ও প্যাট্রিয়ট, এড়িয়ে যেতে সক্ষম।
নাসিরজাদে জানান, যদিও ১২ দিনের যুদ্ধে এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি, তবুও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্লান্ত করে তোলে। ‘যদি যুদ্ধ ১২ দিনের বদলে ১৫ দিন চলত, শেষ তিন দিনে প্রায় কোনো ক্ষেপণাস্ত্রই শত্রুর পক্ষে প্রতিহত করা সম্ভব হতো না’ তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে তা শত্রুপক্ষের জন্য ভয়াবহ হতো এবং তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শুরুতে যেমন ছিল তেমন থাকত না।‘‘এ কারণেই তারা যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়েছিল,’ মন্তব্য করেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
গত ১৩ জুন ইসরাইল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনায় আঘাত হেনে আগ্রাসন শুরু করে। পরবর্তীতে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র নাতাঞ্জ, ফোর্ডো ও ইসফাহানে তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
এর জবাবে ইরানি সেনারা তাৎক্ষণিক পাল্টা আঘাত হানে। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের এয়ারোস্পেস বাহিনী ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ–৩’ এর অংশ হিসেবে ইসরাইলি দখলকৃত অঞ্চলের বিভিন্ন শহরে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরানি সেনারা কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এটি পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতিতে যুদ্ধের ইতি ঘটে।
এসএন/রুপা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: