দুনিয়া ও আখেরাতে ফেরেশতারা কাদের বন্ধু?
প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১৮:৫৬
আপডেট:
২৭ জুলাই ২০২৫ ২১:২২

পৃথিবীতে প্রতিটি ঈমানদার মুসলমানের মূল উদ্দেশ্য খাঁটি মনে আল্লাহর ঈবাদত করা এবং তাকে পালনকর্তা হিসেবে বিশ্বাস ও স্বীকার করা। যারা এমন কাজে অবিচল থাকে, ঈমান ও তওহিদ পরিত্যাগ করে না, ফেরেশতারা দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের বন্ধু হয়ে থাকেন।
আর সেই ব্যক্তির মৃত্যু সময় ফেরেশতারা সুসংবাদ নিয়ে আগমন করেন যে, তাদের কোনো ভয় নেই, মৃত্যুর পরের জীবনে তারা তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী জান্নাতের সুসংবাদ।
পবিত্র কোরআনের সুরা হা-মীম আস-সাজদায় বর্ণিত, ‘নিশ্চয় যারা বলে, ‘আল্লাহই আমাদের রব অতঃপর অবিচল থাকে, ফেরেশতারা তাদের কাছে নাযিল হয় এবং বলেন, তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর তোমাদের যার ওয়াদা দেয়া হয়েছিল। আমরা দুনিয়ার জীবনে তোমাদের বন্ধু এবং আখিরাতেও। সেখানে তোমাদের জন্য থাকবে যা তোমাদের মন চাইবে এবং সেখানে তোমাদের জন্য আরো থাকবে যা তোমরা দাবি করবে। এটা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ হতে আপ্যায়ন হিসেবে।’
অর্থাৎ, আল্লাহ এক, তার কোন শরীক নেই। প্রতিপালকও তিনিই এবং উপাস্যও তিনিই। যে ব্যক্তি কঠিন থেকে কঠিনতর অবস্থাতেও ঈমান ও তাওহিদের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং তা থেকে আদৌ বিমুখ হয় না, তার জন্য এই সুসংবাদ।
এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-কে বললেন, আমাকে এমন কথা বলে দিন যে, আপনার পর যেন আমার অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন না হয়। তখন রাসুল (সা.) তাকে বললেন, তুমি বল, আমি আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম। অতঃপর তারই উপর অবিচল থাক। (মুসলিম)
যারা এই অবস্থার ওপর অটল থাকবে ফেরেশতারা তাদের বন্ধু হবেন এবং মৃত্যুর সময়, কবরে এবং কবর থেকে পুনরায় উঠানোর সময় তাদের সুসংবাদ দেবেন।
ফেরেশতারা তাদের এই সুসংবাদ দেন যে, আখেরাতে তারা যে সকল অবস্থার সম্মুখীন হবে, তার ব্যাপারে কোন আশঙ্কা থাকবে না এবং দুনিয়াতে যে ধন-মাল ও সন্তান-সন্ততি ছেড়ে এসেছে, সে ব্যাপারেও কোন দুঃখ করো না।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: