মির্জা ফখরুল
পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি
প্রকাশিত:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১৮:১২
আপডেট:
২৭ জুলাই ২০২৫ ২০:৪৯

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। জনগণের মধ্য থেকে এই দাবি উঠে এলেই তা সম্ভব হবে।
রোববার (২৭ জুলাই) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে ‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় আট কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা পদ্মা ব্যারেজ ও পদ্মা সেতুর সঙ্গে জড়িত। এটি নিয়ে মোট সাতবার সম্ভাব্যতা যাচাই হলেও এখন পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি; যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।'
তিনি বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজ শুধু ফরিদপুর বা নির্দিষ্ট কোনো এলাকার সমস্যা নয়, এটি সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সমস্যা। এ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা এবং জীবিকা রক্ষায় পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ায় মানুষ সেখান থেকে চলে যাচ্ছে, যা একটি গুরুতর সমস্যা। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের দাবি নিয়ে সামনে দাঁড়াতে হবে, যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের এই বিষয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং জনগণের জীবিকার প্রশ্ন জড়িত থাকায় বিএনপি এই অঞ্চলগুলোর উন্নয়নে অত্যন্ত সচেতন। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো কঠিন কাজই সম্ভব। জনগণের ঐক্যবদ্ধ দাবিই পরবর্তী সরকারগুলোকে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বাধ্য করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি দেশের মানুষের পালস বুঝি। দেশের মানুষ উন্নতি চায়, একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চায়। আর এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই সমস্ত সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সামনে নির্বাচন; নির্বাচনী প্রচারণা হবে। আমি প্রত্যাশা করব এই বিষয়টি (পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু) প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে যেন স্থান পায়।'
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এটিকে নির্বাচনী ইশতেহারে দেবেন। যেন এই দাবি জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়।
তিনি বলেন, আগামী সরকারে যারা আসবে তাদের প্রথম কাজ হবে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানসহ বহুবিধি কাজে মধ্যম মেয়াদী পরিকল্পনা করা। আমি প্রত্যাশা করব, মধ্যম মেয়াদী বাজেটে এবং ২০২৬-২৭ অর্থ বছরের বাজেটে এই প্রকল্পটি যেনো অর্থায়নের জন্য সংযুক্ত হয়।
সেমিনারের সভাপতিত্বে করেন রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: