শুধু চিনি নয়, লিভারের ক্ষতি করে এই জিনিসগুলোও
প্রকাশিত:
৫ মে ২০২৫ ১৫:৫৮
আপডেট:
৫ মে ২০২৫ ১৯:৪২

আমাদের লিভার হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি, যা শরীরকে বিষমুক্ত করে, খাবার হজমে সাহায্য করে এবং বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে। আজকাল আমরা যে সবচেয়ে সাধারণ লাইফস্টাইল ডিজিজের মুখোমুখি হই তা হলো ফ্যাটি লিভার, যা অ্যালকোহলযুক্ত বা নন-অ্যালকোহলযুক্ত হতে পারে। যদিও ফ্যাটি লিভার উদ্বেগজনক, তবে এটি নিজে থেকেই জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়, যদি না তা লিভার সিরোসিসে পরিণত হয়। এটি গুরুতর অবস্থা, যেখানে সুস্থ লিভার টিস্যু দাগ টিস্যু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, যা লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত করে। তবে লিভার সিরোসিস হঠাৎ করে ঘটে না। সাধারণত বছরের পর বছর ধরে লিভারের ক্ষতির কারণে এমনটা হয়ে থাকে, যা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনুসরণ করে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ ছাড়াও এই অভ্যাসগুলো লিভারের ক্ষতি করতে পারে-
১. অ্যালকোহল গ্রহণ
অ্যালকোহল লিভারের ক্ষতির অন্যতম প্রধান কারণ। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে লিভার ভেঙে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় কাজ করতে বাধ্য হয়, যা অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ অপসারণের ক্ষমতা হ্রাস করে। ধীরে ধীরে এটি ফ্যাটি লিভার, প্রদাহ এবং এমনকী সিরোসিসের কারণ হতে পারে, যেখানে লিভারের টিস্যু স্থায়ীভাবে দাগ হয়ে যায়।
২. ব্যথানাশক
অনেকে ঝুঁকি না বুঝে নিয়মিত অ্যাসিটামিনোফেন (প্যারাসিটামল) এর মতো ব্যথানাশক গ্রহণ করেন। এই ওষুধগুলোর অত্যধিক বা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার লিভারের জন্য বিষাক্ত হতে পারে, এমনকী অল্প পরিমাণেও গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। ওষুধ মেশানোর আগে ডোজ নির্দেশাবলী অনুসরণ করা এবং ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
৩. জাঙ্ক ফুড
চিপস, ফাস্ট ফুড এবং ডিপ-ফ্রাইড স্ন্যাকসের মতো খাবারে অস্বাস্থ্যকর ট্রান্স ফ্যাট এবং প্রিজারভেটিভ বেশি থাকে। এই চর্বিগুলো লিভারে চর্বি জমা এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অলিভ অয়েল এবং বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত বাড়িতে রান্না করা খাবার বেছে নেওয়া লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
৪. ডিহাইড্রেশন
ডিহাইড্রেশন লিভারের জন্য বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া কঠিন করে তোলে। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয় এবং লিভারকে চাপ দেয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা, ভেষজ চা বা লেবুর পানি পান করার অভ্যাস লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং এটিকে দক্ষতার সঙ্গে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে।
৫. লাল/প্রক্রিয়াজাত মাংস
লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস লিভারের ক্ষতি করতে পারে কারণ এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং অ্যাডিটিভ থাকে। এগুলো লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রোটিনের সংযম এবং হালকা উৎস নির্বাচন করা বাঞ্ছনীয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: