সালথায় জাল সনদে চাকরি, বেতন বন্ধ সহকারী শিক্ষকের
প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২৫ ১৮:০৯
আপডেট:
৩১ জুলাই ২০২৫ ১৭:৩৬

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় অবৈধ উপায়ে চাকরি নেয়া এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত করেছে প্রশাসন। জাল সনদের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া মাদ্রাসা শিক্ষিকা হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের পশ্চিম বিভাগদী আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) পদে কর্মরত হালিমা খাতুনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি ও শিক্ষা সনদের জালিয়াতির অভিযোগে সালথা উপজেলা প্রশাসন সম্প্রতি তার বেতন বন্ধ করে দেয়।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আনিছুর রহমান বালী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হালিমা খাতুনের নিয়োগে নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটেছে। ২০০০ সালে চাকরিতে যোগদান করলেও তার পেশাগত প্রশিক্ষণের সনদ (বিপিএড) ছিল না, যা পরবর্তীতে ২০১৩ সালে অর্জন করেন। এর আগে দাখিল করা ২০০৪ সালের একটি বিপিএড সনদ যাচাইয়ে তা ভুয়া প্রমাণিত হয়।
তদন্তে দেখা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে মিল না থাকায় হালিমা খাতুনের সনদের বৈধতা নেই। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম ২০২৩ সালের নভেম্বরে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যৌথ তদন্তে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা সত্ত্বেও মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার জুন মাসে হালিমার বেতন তোলার চেষ্টা করলে ইউএনও তার নাম বেতন শিট থেকে কেটে দেন।
এ বিষয়ে হালিমা খাতুন বলেন, আমি ২০১৩ সালে কুষ্টিয়ার একটি ইনস্টিটিউট থেকে বিপিএড পাশ করি। এর আগে যে সনদ দাখিল করা হয়েছিল, তা আমি দিইনি— কে দিয়েছে জানি না।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আবু নাসের আহমাদ জানান, আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি। তবে হালিমা খাতুনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি রয়েছে, যার ভিত্তিতে প্রশাসন তার বেতন বন্ধ করেছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুস্মিতা সাহা বলেন, এ ধরনের অবৈধ নিয়োগ ব্যবস্থা শিক্ষাক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। প্রশাসনের এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: