দেড় মাস পর স্বামী বুঝলেন পারলেন তার স্ত্রী পুরুষ!
প্রকাশিত:
২৬ জুলাই ২০২৫ ২০:৪৫
আপডেট:
২৭ জুলাই ২০২৫ ১০:৪৬

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রায় দেড়মাস সংসার করার পর স্বামী জানতে পারলো তার স্ত্রী একজন পুরুষ। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কথিত নববধূর নাম সুমি (ছদ্মনাম)। তার প্রকৃত নাম মো. জামাল (ছদ্মনাম)। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের জুয়েলের (ছদ্মনাম) সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় সুমির। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর গত ৭ জুন শান্তর বাড়িতে চলে আসেন তিনি। এরপর পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। তখন থেকে নববধূ হিসেবে জুয়েলের পরিবারে বসবাস করতে থাকেন তিনি।
সম্প্রতি নানান কারণে জুয়েল ও সুমি আচরণে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। শুক্রবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা নিশ্চিত হন নববধূ সুমি একজন পুরুষ। বিষয়টি জানাজানি হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জুয়েল বলেন, ফেসবুকে সুমির সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৭ জুন বাড়িতে চলে এলে আমাদের বিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি হয়নি। বিয়ের পর থেকে তার আচরণ রহস্যজনক ছিল। তার কাছে গেলে বলতো, আমি এখন অসুস্থ। ডাক্তার আপাতত কাছে আসতে নিষেধ করেছেন। শুক্রবার তার আসল পরিচয় উন্মোচিত হয়। সকালে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জুয়েলের মা বলেন, একজন পুরুষ পরিবারে বউ হয়ে এতোদিন থাকলেও কেউ টের পাইনি। তার অভিনয়ে কেউ বুঝতে পারিনি সে ছেলে ছিল। সকালে তাকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।
সুমি মোবাইলে বলেন, জুয়েলের সঙ্গে যা করেছি সেটা অন্যায় হয়েছে। এটা করা আমার ঠিক হয়নি। তবে আমার হরমোনজাতীয় শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতে ভালো লাগে।
গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, এ বিষয় নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি। তবে বিষয়টি পরিষদের এক মেম্বারের মুখ থেকে শুনেছি।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: