তিন বছরের মেয়েকে খুন করে খালে ফেলে বাবা লুকায় খাটের নিচে
প্রকাশিত:
৬ জুলাই ২০২৫ ১৮:৫০
আপডেট:
৬ জুলাই ২০২৫ ২৩:১৮

তিন বছরের কানিজ ফাতেমা হয়তো এখনো ‘বাবা’ শব্দটা ঠিক করে বলতে শেখেনি। অথচ সেই বাবার হাতেই থেমে গেল তার জীবন। নির্মমভাবে রড দিয়ে পিটিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেয় পাষণ্ড পিতা। পরে নিজেই গিয়ে লুকিয়ে পড়ে খাটের নিচে।
শনিবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী কোনারপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
কানিজ ফাতেমার বাবা আমান উল্লাহ (৩২) মাদকাসক্ত ও খুনের মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে জানিয়েছেন পরিবার ও পুলিশ।
নিহতের মা জোসনা আক্তার জানান, ঘটনার সময় তিনি পাশের একটি বাড়িতে গৃহকর্ম করছিলেন। হঠাৎ তার বড় সন্তানরা দৌড়ে গিয়ে জানায়, তাদের বাবা রড হাতে পাগলের মতো আচরণ করছে।
তিনি বলেন, আমি দৌড়ে এসে দেখি মাটিতে পড়ে আছে আমার মেয়ে কানিজ। পাশে পড়ে ছিল একটি ছাগল, তাকেও মেরেছে। আমি চিৎকার করে উঠলে সে মেয়ে কানিজকে তুলে নিয়ে চলে যায়— বলেন কান্নাভেজা কণ্ঠে কানিজের মা।
তিনি বলেন, আমি বাইরে লোক ডাকতে গেলে সে কানিজকে খালে ফেলে দেয়, আর নিজে খাটের নিচে লুকিয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে খালে তল্লাশি চালিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দুর্জয় সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন এবং আমান উল্লাহকে জনতার সহযোগিতায় আটক করেন।
এসআই দুর্জয় সরকার বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত পিতাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শিশুটির মা বলেন, আমার স্বামী নিয়মিত মাদক সেবন করত। আগেও একবার খুনের দায়ে জেল খেটেছে। বাচ্চাদের যেন ক্ষতি না করে, তাই আমি ঘরে ধারালো ছুরি-দা লুকিয়ে রাখতাম। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলো না।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: