জলদস্যুদের হামলায় ট্রলারডুবি
সাগরে ভেসে প্রাণে বাঁচলেন ১৮ জেলে
প্রকাশিত:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২০
আপডেট:
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৩০

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলায় এমভি আবুল কালাম নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় ১৮ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চরইশ্বর বাংলাবাজার ঘাটে উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিয়ে আসা হয়। তারা সবাই হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে গত রোববার বিকেলে নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
উপকূলীয় জেলেরা দাবি করছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আবারও বড় ধরনের প্রাণহানি ও ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, শুক্রবার সকালে ট্রলারটি মাছ ধরতে সাগরে যায়। হঠাৎ জলদস্যুরা তাদের ধাওয়া করে। ট্রলারটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলে একপর্যায়ে জলদস্যুরা পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। পরে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ভগ্নাংশ ধরে ভেসে থাকেন তারা।
ট্রলারের মালিক আবুল কালাম কালু মাঝি বলেন, জলদস্যুরা ট্রলারটি ডুবিয়ে দেওয়ার পর সামান্য অংশ ভেসে ছিল। সেটি ধরে আমরা ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসেছিলাম। পরে অন্য উপজেলার দুটি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। কোটি টাকার সম্পদ চোখের সামনে সাগরে হারাতে হলো।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মৎস্য ব্যবসায়ী লুৎফুল্লাহিল নিশান বলেন, নদী ও সাগরে আবারও ডাকাতদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। এতে জেলে ও বোট মালিকরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। উপার্জন বন্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। আমরা জোর দাবি জানাই— উপজেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ড দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিক।
এ বিষয়ে হাতিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল নিঝুমদ্বীপ থেকে অনেক দূরে হওয়ায় আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমাদের কাছে ভারী নৌযান না থাকায় গভীর সমুদ্রে অভিযান চালানো সম্ভব হয় না।
হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি ট্রলার ডাকাতির খবর পেয়েছি। জেলেরা অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিই। তবে এসব বন্ধে সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: