বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, উপকূলজুড়ে বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া
প্রকাশিত:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১০:৪৩
আপডেট:
২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৬:৪২

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ভোর থেকেই নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হলে স্থানীয় জনজীবনে ভোগান্তি নেমে আসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে আরও শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। লঘুচাপের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে দ্বীপাঞ্চলে মানুষের জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ার পাশাপাশি খেটে খাওয়া মানুষ বৃষ্টির কারণে কাজের জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। হাতিয়ার মেঘনা নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষরা জানায়, ভাঙনপ্রবণ এলাকায় জোয়ারের পানির সঙ্গে বাতাসের দমকা আঘাত বাড়তি আতঙ্ক তৈরি করেছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী এক থেকে দুই দিন এ বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। তবে লঘুচাপটি যদি আরও ঘনীভূত হয়, তাহলে এটি নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে, যা উপকূলীয় অঞ্চলে আরও প্রভাব ফেলবে।
হাতিয়া উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আকবর হোসেন বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারগুলো ঘাটে আটকে আছে। বাজারেও তেমন ক্রেতা নেই। অধিকাংশ মানুষ নিরাপদে ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছেন।
হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি ও ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষও ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বাজারের দোকানপাটেও নেই আগের মতো ভিড়। বাজারে ক্রেতাশূন্য অবস্থা, অধিকাংশ মানুষ ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছেন।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গভীর সমুদ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, বর্তমানে উপকূলজুড়ে ঝোড়ো বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী আমরা নির্দেশনা প্রদান করছি। সতর্কতা হিসেবে জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অফিস।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: