বাগেরহাটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৩:০৯
আপডেট:
২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:১৮
বাগেরহাটের ৯ উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি।
এ সময় বিভিন্ন সড়ক অবরোধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
বাগেরহাট মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে, খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া, কাটাখালি, মোল্লাহাট সেতু, বাগেরহাট পিরোজপুর মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাজার, খুলনা মোংলা মহাসড়কের ফয়লা, মোংলা বাসস্ট্যান্ডসহ জেলার অন্তত দশটি স্থানে সড়কের ওপর গাড়ি ও বেঞ্চ রেখে অবরোধ করছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
এতে বাগেরহাট জেলার অন্য সকল স্থানের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন।
বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জামাতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে আমরা গেল ৩০ জুলাই তিনটি আসনের প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকে বাগেরহাটে আন্দোলন করে আসছি। কখনো সংবাদ সম্মেলন, কখনো রাজপথ অবরোধ আবার নির্বাচন অফিসে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপ্ত প্রদান করা হয়েছে। এরপরেও নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তাব থেকে ফিরে আসেনি। যার কারণে আমরা আজকে সর্বত্র অবরোধ ও হরতালের ডাক দিয়েছি। জেলার সর্বস্তরের জনগণ আমাদের দাবির স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে হরতাল ও অবরোধ সফল করছেন। কোন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছে না। মোংলা বন্দর এলাকারও বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ। আশা করি নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবি মেনে নিবে। তা না হলে এর থেকে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গেল ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাট জেলার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রস্তাব দিলে জেলা সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই প্রস্তাব বাতিল ও চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে।
এসএন/রুপা
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: